নিজের ইজ্জত রক্ষার্থে হাতের কাছে থাকা কেচি দিয়ে লম্পটের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় মেয়েটি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মানিকপুর গ্রামে দর্জি ব্যবসায়ী এক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় মৌলভী শেখ মহিউদ্দিন বিল্লাল ওরফে তোতা মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে ৫ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৩ এর বিচারক মোঃ হালিম উল্লা মামলার রায়ে আসামীকে এই দন্ডাদেশ দেন। সেই সাথে আসামীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, বাঘাসুরা ইউনিয়নে সুন্দরপুর গ্রামের মোছাঃ আনারকলি মানিকপুর গ্রামে আখলাছ মিয়ার স্ত্রী নার্গিস আক্তারের বসতবাড়িতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে টেইলারিংয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। এদিকে নার্গিসের পিতা সুন্দরপুর গ্রামের মৌলভী শেখ মহিউদ্দিন ওরফে তোতা মিয়া প্রায় সময়ই মেয়ের বাড়িতে এসে আনারকলিকে কুপ্রস্তাব দিতেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে ধর্ষণের জন্য পরিকল্পনা করছিলেন তোতা মিয়া। ২০০৯ সালের ২৫ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে আনারকলি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যায়। এ সুযোগে তোতা মিয়া তার ঘরে ঢুকে নিশ্চুপ বসে থাকেন। আনারকলি ঘরে ফিরে আসার সাথে সাথে তাকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তোতা মিয়া। এ সময় নিজের ইজ্জত রক্ষা করার জন্য টেবিলের উপরে থাকা কাপড় কাটার কেচি দিয়ে তোতা মিয়ার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করে আনারকলি। কেচির আঘাতে তোতা মিয়া রক্তাক্ত জখম হন। এ সময় আনারকলির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটিকে রক্ষা করেন এবং বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তোতা মিয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আনারকলি বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে গতকাল সোমবার হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৩ এর বিচারক মোঃ হালিম উল্লা উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম।