বানিয়াচঙ্গে বিএনপি নেতার স্মরণ সভায় ডা. জীবন

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেছেন- কৃষকের অবস্থা খারাপ কিন্তু সরকারি দলের নেতাদের অবস্থা খারাপ না। বাংলাদেশে ৫৪টা নদী যা ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এর মধ্যে ৫২টা নদী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এক এক করে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা তিস্তার পানি পাই না, আমরা গঙ্গার পানি পাই না। কিন্তু ফেনী নদীর পানি তাদেরকে দিয়ে চলে আসি। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চাই। শুক্রবার বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সেক্রেটারি মরহুম আজিজুর রহমান ছবিল মিয়ার স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিকাল ৪টায় কাছারি পুকুরের উত্তর দিকে মরহুম ছবিল মিয়ার নিজস্ব জায়গায় এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ডা. জীবন আরো বলেন, আজিজুর রহমান ছবিল মিয়া ছিলেন উদার মনের মানুষ। নির্লোভ এই মানুষটি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের সেবায় কাজ করে গেছেন। একজন সাদাসিদে সরল মনের মানুষ ছিলেন আমাদের ছবিল ভাই। বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন তিনি সভাপতি ছিলেন। মানুষকে সহজেই আপন করে নিতেন তিনি। তাই আসুন ছবিল ভাইয়ের পথ অনুসরণ করে রাজনীতি করি।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মো. লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং প্রথম যুগ্ম আহবায়ক শেখ বশীর আহমেদ ও যুগ্ম আহবায়ক খালেদ মিয়ার পরিচালনায় স্মরণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ। জি কে গউছ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, আজকে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ছবিল ভাইদের মতো ত্যাগী মানুষ খুবই দরকার। গত নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন আমাদের নির্বাচিত প্রার্থীকে কিভাবে পরাজিত করা হয়েছে। আসুন সকলে মিলে ছবিল ভাইয়ে দেখানো পথে হাঁটি। আমার বিশ্বাস বানিয়াচঙ্গে বিএনপিকে কেউ ধাবিয়ে রাখতে পারবে না।
স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান ফারছু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, হাজী এনামুল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুল হোসেন মারুফ, য্্ুগ্ম আহবায়ক ওয়ারিশ উদ্দিন খান, ফরহাদ হোসেন বকুল, জমিয়তে উলামা ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল জলিল ইউসুফী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদির, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সামছুল আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি রুবেল আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ আহমেদ, পুকড়া ইউনিয়ন শাখার সাবেক আহবায়ক আব্দুল কাদির দুলা মিয়া, সাদিক মিয়া, কৃষক দলের সভাপতি এহিয়া খান, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মিলন খান, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোবাশ্বির আহমেদ মজনু, উপজেলা জাসাসের সভাপতি আরশাদ ফজলে খোদা লিটন, তাঁতী দলের আহবায়ক মওদুদ আহমেদ, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শরীফ উদ্দিন ঠাকুর ও কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফজলে হাসান রুমন। শেষে বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম আজিজুর রহমান ছবিল মিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।