হবিগঞ্জের মুখ রিপোর্ট ॥ রবিবার ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি ও নানা আয়োজনে হবিগঞ্জে সম্পদ আর সৌন্দর্যের দেবী লক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মীর আরাধনায় সেজে উঠে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি গৃহকোণ। মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গে ঘরের আঙিনায় শোভা পায় চালের গুঁড়ো, আল্পনায় লক্ষ্মীর ছাপ। লক্ষ্মী মানে শ্রী, সুরুচি। লক্ষ্মী সম্পদ আর সৌন্দর্যের দেবী। বৈদিক যুগে মহাশক্তি হিসেবে তাকে পূজা করা হতো। তবে পরবর্তীকালে ধনশক্তির মূর্তি নারায়ণের সঙ্গে তাকে জুড়ে দেওয়া হয়। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এ পূজা করে থাকেন। এ উপলক্ষে হিন্দু রমণীরা উপবাসব্রত পালন করেন। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রজ্বালন করা হয় প্রদীপ। থেমে থেমে ফুটে আতশবাজি। লক্ষীপূজা উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন মন্দির ও মন্ডপের পাশাপাশি হিন্দুদের ঘরে ঘরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করানো হয়।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে ভক্ত গৃহে পূজা নিতে আসেন। প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু রাজা-মহারাজা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ গৃহস্থ অব্দি সবাই দেবীকে পূজা দিয়ে আসছেন। বাঙালি হিন্দু বিশ্বাসে লক্ষ্মীদেবী দ্বিভুজা। আর তার বাহন পেঁচা। তবে বাংলার বাইরে লক্ষ্মীর চতুর্ভুজা কমলে-কামিনী মূর্তিই বেশি দেখা যায়।
শহরের ঘাটিয়া আবাসিক এলাকার বাসিন্দা রাজেশ সরকার জানান, রবিবার সকাল থেকেই অনেকে পূজা শুরু করেছেন। রাত ২টার মধ্যে পূজা শেষ করতে হবে। এর পর আর পূজা করা যাবে না।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com