সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাই উপজেলার ৫নং করাব ইউনিয়নের সিংহগ্রামের ঈদগাঁহ মাঠ হয়ে চন্দ্রার পুকুর থেকে মুসাউল আলম এর বাড়ীর দক্ষিণ পর্যন্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সিংহগ্রাম, গুনিপুর, আগাপুর ও হরিণাকোনা গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে। জলাবদ্ধতার কারণে জনসাধারণ ও যান চলাচলে অনুপযোগী পড়েছে সড়ক। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, অসুস্থ রোগী সহ হাজার হাজার মানুষকে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অসুস্থ রোগী ও বৃদ্ধ মানুষকে। যেন দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুল্লা বাজার থেকে সিংহগ্রামের আমতলী হয়ে সিংহগ্রামের শাহী ঈদগাঁহ গুনিপুর সড়কের চন্দ্রার পুকুর থেকে মুসাউল আলম এর বাড়ীর দক্ষিণ পর্যন্ত প্রায় ৬শ’ ফুট রাস্তা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
মুসাউল আলম নামে এক ভুক্তভোগী তার ফেসবুকে জলবদ্ধতা দূরীকরণে সাংবাদিক ও লাখাই উপজেলা প্রশাসন এর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি পোস্ট দেন। ভুক্তভোগী মুসাউল আলম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই চন্দ্রার পুকুর থেকে আমাদের বাড়ীর দক্ষিণ পর্যন্ত পানি লেগে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয়।
তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করে একটি কালভার্ট নির্মাণ করে দেয়, তাহলে আমাদের দীর্ঘদিনের জলবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে।
মুসাউল আলম এর ফেসবুক পোস্টে মোঃ রিয়াজ তালুকদার নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করে লেখেন, ‘বৃষ্টি আসলেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে জীবনের হুমকি চলে আসে। অনেক এলাকার পানি এই রাস্তার উপর দিয়ে সিংহগ্রামের গোপাটে যায়। তাই মানুষ চলাচলের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।’ এই রাস্তার সাইড দিয়ে পানি যাওয়ার জন্য স্থায়ী ভাবে একটি ড্রেন নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।