সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় আফিয়া

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের গৃহকর্মী আফিয়ার লাশের টাকা নিয়ে তোলপাড় চলছে। সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আফিয়ার ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আদালতে একই ইউনিয়নের কায়স্থগ্রাম প্রবাসী মোঃ আব্দুল কাদির শামীম এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত আব্দুল কাইয়ুম সেলিম নামের দুই সহোদরের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি,আর ৪৩২/১৯ ইং মামলা হয়েছে। কয়েক বছর পূর্বে আফিয়াকে সৌদির ভিসা দিয়ে সেখানে নিয়ে যান সৌদি প্রবাসী শামীম। ২০১৭ সালে সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন গৃহকর্মী আফিয়া বেগম। মামলা দায়ের করেন নিহত গৃহকর্মীর ভাই মোঃ আব্দুল খালিক। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১২ নভেম্বর আসামীদের স্বশরীরে হাজিরের নির্দেশ দেন। এখবর নিশ্চিত করেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন তালুকদার।
মামলা সূত্রে প্রকাশ, প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল কাদির শামীম আফিয়ার অপঘাতে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। নিহত আফিয়ার পরিবার বাংলাদেশ থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে। ২০১৭ সালের জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় আফিয়া বেগম। বিধি মোতাবেক ক্ষমতা পেয়ে আফিয়ার ক্ষতিপূরণ বাবত ৩৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন আব্দুল কাদির শামীম। আফিয়ার পরিবারের নিকট ওই খবর জানিয়ে দেন শামীমের সহোদর আব্দুল কাইয়ুম সেলিম। সৌদি থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করলেও নিহত আফিয়ার পরিবারকে ওই টাকা দেয়া হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস বৈঠক হয়। ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে টালবাহানার অডিও রেকর্ড সংযুক্ত করে আদালতে মামলা হয়। মামলার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হন আব্দুল কাইয়ুম সেলিম।
মামলায় দুই দফায় ১০ লাখ ও ২৬ লাখ টাকা উত্তোলনের পর আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত সমন জারি করেন। মামলার বাদি আব্দুল খালিক বলেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা ও পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে আমার বোনকে বিদেশ পাঠাতে সম্মত হই। আব্দুল কাদির শামীম আমার বোন আফিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর জানিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনের জন্য বাংলাদেশ থেকে কাগজপত্র সরবরাহের কথা জানায়। তার কথা অনুযায়ি শামীম সহোদর সেলিমকে নিয়ে যাবতীয় কাগজপত্র তৈরী করে সৌদি প্রেরণ করি। আব্দুল কাইয়ুম সেলিম ক্ষতিপূরণ বাবত ৩৬ লাখ টাকা প্রাপ্তির কথা স্বীকার করলেও পরিশোধ করেনি। এনিয়ে একাধিক শালিস বৈঠকের পর কোন ফল না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি।