উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাত সুলতানা বললেন, চাল বন্টনের জন্য চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের নামে ডিও ইস্যু করা হয়। এ চাল কিভাবে কালোবাজারে গেল তা তদন্ত করে উদঘাটন করা হবে ॥ চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন, চাল বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন ইউপি মেম্বার কামাল, তাই চালগুলো কিভাবে কালোবাজারে গেল তা আমার জানা নেই
স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুরের বাঘাসুরা সড়ক বাজার থেকে দুঃস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের ভিজিডির ১১ বস্তা চাল আটক করেছেন সহকারি কমিশনার ভূমি মতিউর রহমান খান। গতকাল শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘাসুরা সড়ক বাজারের মাসুক মিয়ার দোকান থেকে তিনি উল্লেখিত পরিমাণ চাল আটক করেন। এ ব্যাপারে দোকানদার জানান, চালগুলো তিনি অন্যের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। এর বেশি তিনি কিছু জানেন না।
ইউপি সদস্য কামাল মিয়া জানান, বাঘাসুরা সড়ক বাজারের মাসুক মিয়ার দোকান থেকে জব্দকৃত ১১ বস্তা চাল তার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে সিদ্ধ ও আতপ চাল রয়েছে।
দুঃস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের ভিজিডির ১১ বস্তা চাল জব্দ করা প্রসঙ্গে বাঘাসুরা ইউপি চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন, আমি চাল বিতরণে ছিলাম না। চাল বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন ইউপি মেম্বার কামাল। তাই চালগুলো কিভাবে কালোবাজারে গেল তা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার ভূমি মতিউর রহমান খান বলেন, কিভাবে চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি হলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাত সুলতানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাত সুলতানা বলেন, দুঃস্থ নারীদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত এ চাল বন্টনের জন্য চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের নামে ডিও ইস্যু করা হয়। এ চাল কিভাবে কালোবাজারে গেল এ মুহূর্তে তা বলতে পারছি না। তদন্ত করে তা উদঘাটন করা হবে।