স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ পৌরসভার টানা ৩ বারের নির্বাচিত পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- শহরের মুক্তিযোদ্ধা ফোয়ারা ও থানা রোডের উন্নয়ন কাজ সম্পর্কে হবিগঞ্জ পৌরবাসীর মধ্যে এক ধরনের কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। টিনের বেড়ায় আবৃত পানির ফোয়ারায় কি হচ্ছে তা জানতে চায় হবিগঞ্জ পৌরবাসী। তিনি সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই প্রশ্ন রাখেন।
বিবৃতিতে জি কে গউছ বলেন- ২০০৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান ও তৎকালিন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের দেয়া বিশেষ বরাদ্দে হবিগঞ্জ পৌরসভায় রোড ডিভাইডার ও সদর থানার সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে রাস্তা প্রশস্ত করে পানির ফোরায়া নির্মাণ করে হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। হবিগঞ্জ পৌরবাসীর পক্ষে আমার দাবির প্রেক্ষিতে ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীনতম হবিগঞ্জ পৌরসভায় প্রথমবারের মত এই পানির ফোয়ারা ও রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা হয়। হবিগঞ্জ পৌরসভার ফান্ডে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করে।
হবিগঞ্জ শহরের সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিনিয়র প্রকৌশলীদের পরামর্শ অনুযায়ী এই ফোরায়া ও রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে পানির ফোয়ারার চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে ভিতরে কি যেন করা হচ্ছে। কোন প্রতিষ্ঠান কি কাজ করছে তা হবিগঞ্জবাসীর কাছে বোধগম্য নয়। পাশাপাশি থানা রোডে নতুন করে ডিভাইডার স্থাপন করা হচ্ছে। এই কাজগুলো কোন ডিপার্টমেন্ট দ্বারা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা হবিগঞ্জ পৌরবাসী জানতে চায়।
রাষ্ট্রীয় অর্থে নির্মিত পানির ফোয়ারা’র যদি সংস্কারের প্রয়োজন হয় তাহলে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে জনগণকে জানিয়ে এর উন্নয়ন কাজ করার কথা হবিগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগের। থানা সড়কেও রোড ডিভাইডারের কাজ দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে করার কথা হবিগঞ্জ পৌরসভার। উল্লেখিত কাজ ২টি বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং হবিগঞ্জ পৌরসভা কবে দরপত্র আহ্বান করেছিল এবং কত টাকা ব্যয়ে কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা জানতে চায় হবিগঞ্জ পৌরবাসী।