স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অবৈধ টমটম গ্যারেজ। এসব গ্যারেজে অবৈধভাবে প্রতিদিন হাজারেরও বেশী টমটম চার্জ করা হয়। ফলে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে হাজার হাজার টাকার রাজস্ব অন্যদিকে অপরিকল্পিত ঝুঁকিপূর্ণভাবে চোরাই বিদ্যুত ব্যবহারের গ্যারেজ করায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা বাড়ছে বিদ্যুত ঘাটতি। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যুত অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীকে ম্যানেজ করেই তারা বহাল তবিয়তে এসব ব্যবসা করে যাচ্ছে।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে শহর ঘুরে দেখা যায়, ২নং পুল, বড়বহুলা, পোদ্দারবাড়ি, এড়ালিয়া, নাজিরপুর, আলম বাজার, গরুর বাজার, যশেরআব্দা, শ্মশানঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০টি টমটম গ্যারেজে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইন থেকে চোরাইভাবে বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ওই লাইনগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে খুবই নি¤œমানের সরঞ্জাম। যেকোন সময় এ থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে ঘটতে পারে মারাত্মক প্রাণহানি কিংবা ক্ষয়ক্ষতি। মাঝে-মাঝে কর্তৃপক্ষের লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও ধরা-ছোয়ার বাইরে থেকে যায় নির্ধারিত অসাধু গ্যারেজ ব্যবসায়ীরা। একটি বিশেষ সমিক্ষায় লক্ষ্য করা যায় যে, প্রতিটি টমটম একবার চার্জে ৫০ টাকার বিদ্যুত খরচ হলে একটি গ্যারেজে নূন্যতম ২০টি টমটম চার্জ করা হলে এরকম শহরের প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার টাকার চোরাই বিদ্যুত ব্যবহার করছেন এসব জাতীয় শত্রুরা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন গ্যারেজ ব্যবসায়ী বলেন, আমরা গ্যারেজ ব্যবসা করি ঠিকই, তবে এ টাকা আমরা একা ভোগ করি না। আমাদের সাথে বিদ্যুত কর্মচারীরাও জড়িত। তারাই অভিযানের আগে আমাদের সটকে পড়ার পরামর্শ দেন। আমরা তাদের তালিকায় অর্šÍভূক্ত।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ বিদ্যুত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন জানান, বার বার আমরা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে আটক করে জেল জরিমানা করলেও তারা থামছে না। কিছুদিন পর আবারও শুরু করে এসব অবৈধ গ্যারেজ ব্যবসা। তবে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা খুবই চালাক, মধ্যরাতে সংযোগ দিয়ে ভোর হবার আগেই সংযোগ খুলে ফেলে। আমাদের কোন নৈশ টিম না থাকায় তাদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না। এই কারণে ট্রান্সফরমার ও লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে।
বিদ্যুত প্রকৌশলী বললেন বার বার অভিযান করেও দমন করা যাচ্ছে না
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com