হবিগঞ্জের বিশিষ্ট দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এসএস আল-আমিন সুমন একজন সৌখিন ফটোগ্রাফার। তিনি ফেসবুকে জনপ্রিয় ফটোগ্রাফি অনলাইন গ্রুপ ‘শখের ছবিয়াল’ এর অন্যতম এডমিন ও সমন্বয়কারী এবং ফটোগ্রাফি সোসাইটি অব হবিগঞ্জ এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি ‘পাখির চোখে হবিগঞ্জ’ শিরোনামে ফেসবুকে একটি অ্যালবাম চালু করেছেন। যাতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যামেরায় আকাশ থেকে ছবি ধারণ করেন। সেই ছবিতে হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানের চিত্র সুন্দরভাবে ফুটে উঠে। তাঁর উদ্দেশ্য ছবির মাধ্যমে মানুষের কাছে হবিগঞ্জকে তুলে ধরা। এখন থেকে ডাঃ সুমন তাঁর ছবি ও ছবির পরিচিতি তুলে ধরবেন দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকায়। আজ প্রকাশিত হলো বানিয়াচঙ্গের ঐতিহাসিক সাগরদিঘী বা কমলারাণীর দিঘীর উপর থেকে তোলা তাঁর ছবি।

ডাঃ এসএস আল-আমিন সুমন

কমলারাণীর দিঘী ঃ কমলারাণীর সাগরদিঘী বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় অবস্থিত একটি বৃহদায়তনের জলাধার। ৬৬.০০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই দিঘীটি আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাধার হিসাবে স্বীকৃত। এই দিঘীটি খনন করান স্থানীয় সামন্ত রাজা পদ্মনাভ। দেশ-বিদেশে এটি রাণী কমলাবতীর দিঘী বা বানিয়াচং-এর সাগরদিঘী বা কমলারাণীর দিঘী নামে বহুল পরিচিত। প্রায় দ্বাদশ শতাব্দিতে রাজা পদ্মনাভ প্রজাদের জলকষ্ট নিবারণের জন্য বানিয়াচং গ্রামের মধ্যভাগে একটি বিশাল দিঘী খনন করেন। এ দিঘী খননের পর পানি না উঠায় স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে রাজা পদ্মনাভের স্ত্রী রাণী কমলাবতী এ দিঘীতে আত্মবিসর্জন দেন বলে একটি উপাখ্যান এ অঞ্চলে প্রচলিত আছে। এজন্য এ দিঘীকে কমলারাণীর দিঘীও বলা হয়ে থাকে।
বানিয়াচং এর উপর দিয়ে আকাশ পথে যদি কোনো বিমান যায় তাহলে এই দিঘীটি স্পষ্ট দেখা যায়। দেশ-বিদেশের যারাই হবিগঞ্জ আসেন একবার অন্তত এই দিঘীটি দেখার ইচ্ছে পোষণ করেন।