সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটের মাঠে ৪ প্রার্থী

এসএম সুরুজ আলী ॥ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য হবিগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (ব্যকস) এর নির্বাচনে শামছুল হুদা-আলমগীর প্যানেলের সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় নির্বাচন কমিশন তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- সহ-সভাপতি অলিউর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ লুৎফুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ রোহেব হোসাইন, প্রচার সম্পাদক আলাই চৌধুরী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শেখ কামরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ মাহবুবুর রহমান মোহন, সদস্য যথাক্রমে নাজমুল হুদা, সামছুল আলম সাজু, জাহেদুল আলম, মোঃ উজ্জল মিয়া, আজিজুল হক জনি ও মামুন আহমেদ।
এদিকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে গতকাল কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় নির্বাচন কমিশন তাদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ দেয়। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান সভাপতি মোঃ শামছুল হুদা (ছাতা) ও বর্তমান কোষাধ্যক্ষ হাজী আব্দুর রহমান (চেয়ার); সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর (মোটর সাইকেল) ও বর্তমান সহ-সভাপতি মীর একেএম জমিলুন্নবী ফয়সল (রিক্সা)। প্রার্থীরা প্রতিক বরাদ্দ পাওয়ার পর পরই জোরেসুরে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। ভোটারদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করছেন এবং ভোট চাইছেন।
সভাপতি প্রার্থী বর্তমান সভাপতি শামছুল হুদা জানিয়েছেন, বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর সংগঠনের জন্য যে কাজ করেছেন এবার নির্বাচনেই ভোটাররা তাদের ভোট দিয়ে তা প্রমাণিত করবেন বলে তিনি আশাবাদী। এজন্য তিনি ভোটারদের নিকট ছাতা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন। সভাপতি পদে অপর প্রার্থী হাজী আব্দুর রহমান জানান, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত নির্বাচনে ব্যবসায়ীরা আমাকে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত করেছিলেন। এবার আমি আশাবাদী আমাকে সভাপতি পদে চেয়ার মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। তিনি ভোটারদের কাছে চেয়ার মার্কায় ভোট চান। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরাও তাদের বিগত দিনে সংগঠনের কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন এবং তাদের প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলহাজ¦ মর্তুজা ইমতিয়াজ জানান, ১৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় সংবিধান মতো তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। প্রাথমিকভাবে ১৫ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করি সকলের সহযোগিতায় একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।