নিহতের পিতা বৃদ্ধ আব্দুস সহিদের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার কাজিহাটা গ্রামে স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের বলি হয়েছেন আকরাম আলী নামে এক আইনজীবী সহকারী। এ ঘটনায় নিহত আকরাম আলীর মা, বৃদ্ধ আব্দুস সহিদের স্ত্রী ছুগেরা খাতুন বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী রুনা আক্তার, সফিক মিয়া, সাইফুল, ওসমান, নুরুল ইসলামসহ আরও কয়েকজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে রুনা নিজে ও তার পরকিয়া প্রেমিক মেম্বার সফিক মিয়াকে বাঁচানোর জন্য নাটক ও অবৈধ ফায়দা হাসিলের জন্য একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে বলে অভিযোগ করেন নিহতের পিতা আব্দুস সহিদ।
ছুগেরা খাতুন অভিযোগ করেন, সফিক মেম্বারের সাথে নিহত আকরাম আলীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। চুনারুঘাটের রামশ্রী গ্রামের সফিকের পূর্ব পরিচিত রুনাকে আকরাম আলীর স্ত্রী করে নিয়ে আসে। কিন্তু সহজ সরল আকরাম জানতেন না সফিকের সাথে তার পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। বন্ধুত্বের কারণে সফিক বিভিন্ন অযুহাতে প্রায়ই আকরামের বাড়িতে আসত। একদিন তার কাছে তাদের অবৈধ সম্পর্ক ধরা পড়ে। আকরাম আলী বিষয়টি তার পিতা ও ভাই আছন আলীকে জানালে তারা সফিককে বাড়িতে আসতে নিষেধ দেয়। এতে সফিক ও রুনা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মোবাইল ফোনে তাদের সম্পর্ক চালিয়ে যায়। সেই সাথে তারা আকরাম আলীকে হত্যা করতে নানা ষড়যন্ত্র চালায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৫ মার্চ আকরাম আলীকে রুনা ও তার সহযোগীরা মিলে বেড়ানোর কথা বলে সিএনজি যোগে নির্জন স্থানে নিয়ে হত্যা করে।
নিহতের পিতা আব্দুস সহিদ (৯০) বলেন, ‘রুনা ও সফিকের পরকিয়া প্রেমের বাধা সরাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে সফিক ও রুনা নির্ধিদ্বায় তাদের পরকিয়া সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি মাঝে-মাঝে রুনার নিত্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনী নিয়ে রাতের বেলা সকলের অগোচরে তার বাড়িতে রাতযাপন করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন সফিকের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়। এ পর্যন্ত সে গ্রামবাসির উপর একাধিক মামলা করিয়েছে যা তদন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
রুনা ও সফিকের এহেন কর্মকান্ডে গ্রামবাসি অতিষ্ঠ হয়ে রুনার বাড়ির সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। এতে অর্ধশতাধিক মুরুব্বীসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ওই সমাবেশ শেষে সর্বসম্মতিক্রমে তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে জানা গেছে। সফিক বাহুবল ও হবিগঞ্জের সীমান্তবর্তী হওয়ায় নানা অপকর্ম চালিয়েও থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাহিরে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন।