স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুই নৌকা একসাথে তরীতে ভিড়ার সাথে সাথে বেজে উঠে ঢোল। তাই কোন নৌকাকেই বিজয়ী করতে পারেননি বিচারকমন্ডলী। ফলশ্রুতিতে অসমাপ্ত রয়ে গেলো ঐতিহ্যবাহী কারারডোবার নৌকাবাইচ। আগামীকাল রবিবার এই নৌকাবাইচের ফাইনাল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের কালারডোবায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আতুকুড়ার হাফরার হাওর থেকে নৌকা দৌঁড় শুরু হয়ে উমেদনগরস্থ কালারডোবা তলিতে এসে শেষ হয়। নৌকা বাইচে ৮টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। ৪টি নৌকার মধ্যে সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। সেমিফাইনালে রইয়ালের দৌঁড়ের নৌকা ফাইনাল রাউন্ডে উত্তীর্ণ হলেও অপর সেমিফাইনালে অংশগ্রহণকারী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার টঙ্গিরঘাটের কালা মিয়া ও টঙ্গিরঘাট গ্রামবাসীর নৌকা একই সাথে তরিতে ভিড়ার পর ঢোল বাজানো হয়। এ সময় কর্তৃপক্ষ এ দুটি নৌকার কোনটিকেই বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেননি। এ জন্য নৌকা বাইচের ফাইনালের দিন পিছিয়ে আগামীকাল রবিবার ধার্য্য করা হয়। এদিকে গতকাল বেলা ৩টা থেকে নৌকা বাইচ দেখার জন্য কালারডোবা এলাকায় হাজারো দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় জমে। দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে বিকেল ৫টা থেকে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত ৭টা পর্যন্ত ওই সড়ক দিয়ে কোন প্রকার যানবহন চলাচল করতে পারেনি। এতে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আনু মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান জয় কুমার দাস, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, জেলা যুবলীগ নেতা আব্দুল মালেক, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম বাচ্চু, উমেদনগর বানিয়াচং রোড টমটম মালিক শ্রমিক সমাজ কল্যাণ সমিতি সভাপতি আলাই চৌধুরী, মনিরুল আলম বাছির প্রমূখ।
উল্লেখ্য, উমেদনগর বানিয়াচং রোড টমটম মালিক শ্রমিক সমাজ কল্যাণ সমিতি এ নৌকাাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।