স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারা দেশের ন্যার হবিগঞ্জেও ভ্যাপসা গরম পড়েছে। গত ২ দিনে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দু’শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। ইতিমধ্যে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, হাসপাতালে সিট না পেয়ে মেঝেতে ও বারান্দায় পড়ে রয়েছে শিশু ও তার স্বজনরা। ডাক্তার ও নার্সরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতালে থেকে কোন ধরনের ঔষধপত্র কিংবা স্যালাইন পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। সব কিছুই বাহির থেকে উচ্চ দামে কিনে আনতে হচ্ছে। তার উপর আবার দালালদের উৎপাত। অনেকেই টাকার জন্য ঔষধ কিনে আনতে পারছেন না। গত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরম পড়র কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে শিশুদের মাঝে আমাশয়, ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দু’শতাধিক শিশু ওই ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের শারমিন আক্তার নামে ২০ দিনের এক শিশু মারা গেছে। গতকাল রাত ৮টায় ওই ওয়ার্ডে সরেজমিনে লক্ষ্য করা যায় ভেতরে জায়গা না থাকায় লোকজন তাদের শিশুদের নিয়ে বারান্দায় স্থান করে নিয়েছেন। আর ভেতরের সিলিং ফ্যানগুলোর অনেকটাই বিকল থাকায় হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের ডাক্তার মেহেদি হাসান জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে এসব রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। আশা করছি খুব দ্রুত সব ঠিক হয়ে যাবে।
গরমে অসুস্থ হয়ে ২০ দিনের এক শিশুর মৃত্যু
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com