হবিগঞ্জে এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

এসএম সুরুজ আলী ॥ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অবদানের জন্য কোন পুরস্কার বা স্মারক গ্রহণ করিনি। একটি সংগঠন তাদের প্রথাগতভাবে আমাকে সম্মাননা জানিয়েছে। একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানে অন্য সবার সাথে আমাকেও একটি স্মারক তুলে দেয় আয়োজকরা। কিন্তু এটি ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। কোন বিষয়কে আংশিক বা ভুলভাবে পরিবেশন করা দুঃখজনক। তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সকল প্রতিষ্ঠান আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আশা করি ডেঙ্গু মোকাবেলায় আমরা সফল হব। শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের দেশে প্রত্যাবর্তন করাটাই সমাধানের উত্তম পন্থা। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। যাদেরকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থাও এ ব্যাপারে কাজ করছে। এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। এ সময় তিনি হবিগঞ্জ শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ রাস্তাঘাটে উন্নয়নের আশ^াস প্রদান করেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষকে ভালবাসতেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন এদেশকে সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তুলবেন। এ লক্ষে শিক্ষা ও কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে যখন তিনি কাজ শুরু করেছিলেন তখন ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে এদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমান বলেছিলেন দেশে খাদ্য ঘাটতি থাকলে ভাল। বিদেশ থেকে সাহায্য আসে। তারা চেয়েছিল এই দেশ যেন ভিক্ষুকের জাতি হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে ভিক্ষুকের জাতির কলঙ্ক মুছে এখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ, বিদ্যুত ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। শিক্ষার হার এবং গুনগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়ছে রপ্তানী আয়। তিনি দেশের গ্রামকে শহরে রূপান্তরের কাজ শুরু করেছেন। দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫শ ডলার। এখন তা দুই হাজারের কাছাকাছি চলে এসেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি হবিগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, সবার আগে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে হবে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ সকল কাজেই সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি পৌরসভার আয় বাড়িয়ে ছোট কাজগুলো নিজেরাই করতে এবং বড় কাজগুলো সরকার করে দিবে বলে ঘোষণা দেন। মন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মাঝে সরকার সবার জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে চায় সরকার। হবিগঞ্জের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নেও সহযোগিতা করা হবে। তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশের সমগ্র উন্নয়নের জন্য সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হবিগঞ্জের যে সমস্ত রাস্তা জনমানুষের কল্যাণের জন্য নির্মিত হওয়া দরকার তা অগ্রাধিকার দেয়া হবে।