হবিগঞ্জ শহর থেকে ছাত্রলীগ নেতার চুরি হওয়া গরু আজমিরীগঞ্জে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহর থেকে চুরি হওয়া ৩টি গরুর মধ্যে ২টি গরু আজমিরীগঞ্জের বিরাট উজানপাড়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই মোঃ শাহিদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে গরু ২টি উদ্ধার করে। এ সময় চুরি করা গরু বহনের মিনি ট্রাক, চালকসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- ট্রাকচালক, বিরাট উজান পাড়া গ্রামের বজলু মিয়া ও আব্দুল হাসিম।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকার ছাত্রলীগ নেতা সেতু মিয়ার পালিত গাভী, গাভীর বাচ্চাসহ ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। শুক্রবার সেতু মিয়া হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া গরু বহন করা মিনি ট্রাকের ড্রাইভারকে আটক করে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় আজমিরীগঞ্জ বিরাট উজানপাড়া গ্রামের ইমতিয়াজ মিয়ার বাড়িতে গরুগুলো রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে পুলিশ ইমতিয়াজ মিয়ার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ইমতিয়াজ পুলিশকে উল্টো জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন তাদের বাড়িতে এসেছে। এর জবাবে পুলিশ জানায়, তার বাড়িতে চুরি হওয়া ৩টি গরু রয়েছে। ইমতিয়াজ জানায়, তার বাড়িতে গরু নেই। পরে পুলিশ তল্লাসী চালতে চাইলে ইমতিয়াজ ও তার লোকজন পুলিশকে বাঁধা প্রদান করে এবং পুলিশকে প্রায় ১ ঘন্টা জিম্মি করে রাখে। ইমতিয়াজসহ তার লোকজন পুলিশের সাথে থাকা লোকজনদের উপর হামলা চালায়। এ খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই শাহিদ মিয়াকে নিয়ে তল্লাসী চালিয়ে ইমতিয়াজের বাড়ি থেকে ২টি গরু উদ্ধার করে এবং ইমতিয়াজের ভগ্নিপতি বজলু মিয়া ও আব্দুল হাসিমকে আটক করে। অবস্থা বেগতিক দেখে গরুচোরের গডফাদার ইমতিয়াজ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে ইমতিয়াজ বাহিনীর হামলায় জাহাঙ্গীর হোসেন ও আজিজুর সর্দার নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসুক আলী জানান, চুরি হওয়া ৩টি গরুর মধ্যে ২টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে এবং চুরির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রাক চালকসহ ৩জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য গরুটি উদ্ধারে পুলিশের অব্যাহত অভিযান চলছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান ওসি মাসুক আলী।