স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবুঝ ৩ শিশুকে রাস্তায় কাঁদতে দেখে তাদের ঘিরে অনেক লোকজন ভিড় জমিয়েছিল। শিশুদের ঘিরে রাখে পথচারিসহ অসংখ্য লোকজন। মানুষের কৌতুহল এত অল্প বয়সে ৩ শিশু কিভাবে এলো, কী তাদের পরিচয়। শিশুরা শুধুই কাঁদছে আর কাঁদছে। তাদের বয়স ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে। বড় শিশুটি কথা বলতে পারে। সে জানায়, তাদের বাড়ি বাহুবলের শংকরপুরে। এসেছে মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে বেড়াতে। নানা বাড়ি রামপুরে আর কিছুই বলতে পারে না। এ অবস্থায় সাংবাদিক মুজিবুর রহমান এর নজরে আসে তাদের। মোবাইলে যোগাযোগ করেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাসুক আলীর সাথে। তাৎক্ষণিক তিনি একজন এসআই ও দুইজন কনস্টেবল পাঠিয়ে দেন ঘটনাস্থলে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী এলাকায় সাধুর সমাধি সংলগ্ন। শিশুদের কথা শুনে সাংবাদিক মুজিবুর রহমানসহ এসআই সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পিকআপ ভ্যানে ৩ শিশুকে নিয়ে রওনা হন রামপুরের উদ্দেশ্যে। তখন কয়েকজন ৩ শিশুকে চিনে ফেলে। পরে অভিভাবকের নিকট নিয়ে যাওয়া হয়। তখন এক আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাদের মা নানা নানিসহ আত্মীয়-স্বজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। হারিয়ে যাওয়া ৩ শিশুকে বুকে টেনে নিয়ে চুমু খেতে থাকেন ও তাদের জড়িয়ে বিলাপ করতে থাকেন মা সহ স্বজনরা। তারা জানান, শিশুরা হারিয়ে গিয়েছিল। তারা অনেক খোজাখুজি করেছেন। সবশেষে সাংবাদিক ও পুলিশের ভূমিকায় আমাদের বুকের ধন ফিরে এসেছে। পুলিশ ও সাংবাদিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন শিশুদের স্বজনরা।