হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে এমপি আবু জাহির

সংখ্যালঘু শব্দটি আমাদের সকলকে ভুলে যেতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেছেন, সংখ্যালঘু শব্দটি আমাদের সকলকে ভুলে যেতে হবে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে। যারা সংখ্যালঘু শব্দটি ব্যবহার করে, তারাই হীনমন্যতায় ভোগে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের যে কোন সমস্যায় সরকার তাদের পাশে রয়েছে। তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি পৃথিবীর কোন ধর্মেই উৎসাহিত করা হয়নি। বরং পরমতসহিষ্ণুতা ও সকলের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা রয়েছে সবখানেই। তাই সকলকে ধর্মের সঠিক আচরণ অনুসরণের অনুরোধ জানান তিনি। শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৫তম আবির্ভাব তিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার মসজিদ-মাদ্রাসার যেমন উন্নয়ন করছে, তেমনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির-আশ্রমেরও উন্নয়ন করছে। এরই মধ্যে হবিগঞ্জে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি মন্দির সংস্কারের কাজ চলছে। নতুন করে আরো ১৮টি মন্দির সংস্কারের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা ও হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী বেদময়ানন্দজী মহারাজ। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর নিখিল ভট্টাচার্য্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসকন অধ্যক্ষ উদয় গৌর দাস ব্রহ্মচারী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট নলিনী কান্ত রায় নীরু, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অ্যাডভোকেট স্বরাজ বিশ্বাস। প্রদীপ দাশ সাগরের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকল্প পরিচালক জগদীশ চন্দ্র রায়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শংখ শুভ্র রায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অহীন্দ্র কুমার দত্ত চৌধুরী, জেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক শংকর পাল, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইষুভূষণ দাশ রায়, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সমন্বয়কারী বাদল কুমার রায়, জেলা হিন্দু মহাজোটের যুগ্ম আহবায়ক সুজিত বণিক, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি শংকর অধিকারী, হবিগঞ্জ পৌর পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক তুষার মোদক প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করেন প্রমথ সরকার এবং বিশেষ প্রার্থনা পরিচালনা করেন পংকজ ভট্টাচার্য্য।
অনুষ্ঠানে শ্রীমদ্ভগবদগীতা থেকে শ্লোক পাঠ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৪৬ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।