সানি চন্দ্র বিশ্বাস, লাখাই থেকে ॥ লাখাই উপজেলার লাখাই বাজার থেকে বামৈ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার ডিসি সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াতসহ বিভিন্ন কারণে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করতে পারে এ সড়কটি। কিন্তু রাস্তাটি আডোবা হিসেবে নির্মাণ না হওয়ায় হাজার হাজার জনগণকে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শুকনো মৌসুমে এ সড়কে যাতায়াত করে লাখাই ১নং ইউনিয়নের শিবপুর, সুজনপুর, আমানুল্লাহপুর, মাহমুদপুর, চিকনপুর, রুহিতনসী, স্বজনগ্রাম, সন্তোষপুর, কৃষ্ণপুর, কামালপুর গ্রামের হাজারো মানুষ। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষের যোগাযোগ ও অন্যান্য কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সড়কটি। লাখাই গ্রামের অধিকাংশ লোক ঢাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ঢাকার সাথে তাদের একটা আন্তঃসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। লাখাই উপজেলার বলভদ্র নদীর উপর এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ব্রীজ নির্মিত হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ফলে হবিগঞ্জ জেলার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ঢাকার সাথে দূরত্ব কমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে লাখাই-নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক। তাই লাখাই-বামৈ সড়কটি বিভিন্ন কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। বর্ষা মৌসুমে এলেই পানিতে তলিয়ে যায় লাখাই ডিসি সড়ক। এর ফলে নৌকা হয়ে উঠে ভাটি অঞ্চলের একমাত্র বাহন। শুকনো মৌসুমে ১০-১৫ টাকায় লাখাই বাজার থেকে বামৈ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক ১০ মিনিটে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সেই গন্তব্যে পৌঁছতে ৩০ টাকা লাগে এবং সময় লাগে ১ ঘন্টা বা তারও বেশি। নৌকার মাঝিরা যাত্রী পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে নৌকা ভিড়ান। এতে সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হয় কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীদের যারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যান। তাছাড়া গর্ভবতী মহিলাদের জন্য তা হয়ে ওঠে ভীষণ কষ্টদায়ক। সন্ধ্যা হলে গন্তব্যে পৌঁছতে যাত্রীদের গুণতে হয় কয়েকশ’ টাকা। তখন যাত্রী নেই কিংবা একা নেওয়া যাবে না এই অজুহাতে আদায় করে অতিরিক্ত ভাড়া। তাই জনমনে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর পক্ষে দাবি উঠেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে লাখাই-বামৈ সড়কটি আডোবা হিসেবে নির্মাণ করা হোক।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আশীষ দাশ গুপ্ত জানান, এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির হবিগঞ্জ-লাখাইয়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন যা অন্য কোনো এমপি স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত করতে পারেননি। তাই তাঁর কাছে লাখাইবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এই সড়কটি সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে শীঘ্রই আডোবা করা হোক। লাখাই ১নং ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আইয়ুব রেজা ইমরান জানান, এই রাস্তাটি আডোবা নির্মাণ হলে লাখাই ১নং ইউনিয়নবাসী পর্যাপ্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা পাবে।