স্টাফ রিপোর্টার ॥ ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ শহরে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেছে ট্রাক শ্রমিকরা। রবিবার সকালে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কের ট্রাফিক পয়েন্টে ট্রাক দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখায় জনসাধারণকে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
শ্রমিকরা জানান, গতকাল রবিবার সকালে ট্রাফিক সার্জেন্ট বদর উদ্দিন হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকার বাসিন্দা ট্রাকচালক সোহেল মিয়াকে আটকিয়ে উৎকোচ দাবি করেন। সোহেল মিয়া রাজি না হলে তাকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করে মামলা দেন। এ মামলার খবর পেয়ে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাৎক্ষণিক জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসের সামনে শহরের প্রধান সড়কে ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে সড়ক অবরোধ করে। অবরোধ চলাকালে শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের ধুলিয়াখাল পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে করে স্কুল কলেজ ও অফিস আদালতে যাতায়াতকারী জনসাধারণকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেককেই ধুলিয়াখাল, ভাদৈ ও পোদ্দার বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পায়ে হেঁটে শহরে পৌঁছতে দেখা গেছে।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার শিমুল ও সদর থানার ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাক শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে বেলা ১১টার দিকে ৩ ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে শ্রমিক ও মালিকদেরকে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন বৈঠক করে।
জেলা ট্রাক ও ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি আওলাদ হোসেন জানান, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানীর প্রতিবাদে আমরা সড়ক অবরোধ করি। পরে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। বিষয়টি সমাধানে মালিক ও শ্রমিকদেরকে নিয়ে বৈঠক করেছে পুলিশ প্রশাসন।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি তদন্ত দৌস মোহাম্মদ জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ব্যাপারে মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. হুসেনুজ্জামান বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ সমস্যা হয়। এ ছাড়া শ্রমিকদের সাথে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। তারা বসে বিষয়টি সমাধান করেন এবং শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।