স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাটের শেখেরগাও গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মাঝে দু’জনকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আশংকাজনক অবস্থায় নাসির মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আহতরা জানান, শেখেরগাও গ্রামের মরম আলীর সাথে একই গ্রামের আব্দুল হাই, তাহির মিয়া গংদের বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে গত ১৪ মে ভোরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মরম আলীর বাড়িতে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আসামীরা তার বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। বাড়ির চারপাশের শতাধিক গাছ/গাছালি কেটে ফেলে। এছাড়াও ১টি গরু, ধান, চাল, নগদ টাকা, আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এতে মরম আলীর ২৭/২৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় মরম আলীর কন্যা মোছাঃ শাহিদা খাতুন বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামী করে গত ১৭ মে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এফআইআর ভুক্ত করে চুনারুঘাট থানা পুলিশকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে চুনারুঘাট থানার এসআই তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ওই মামলার আসামীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কারাভোগের পর আব্দুল হাই ও মনিরুল ইসলাম গং আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা মোজাম্মেল হক চৌধুরী খোকনের প্ররোচণায় মরম আলী গংদের দেখে নেওয়ার জন্য বার বার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মরম আলীর ভাতিজা নাসির উদ্দিন, ভাগনী নাছিমা খাতুন ও ছালেক মিয়ার উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে নাসির উদ্দিন, নাছিমা খাতুন ও ছালেক মিয়া আহত হন। আহত অবস্থায় তাদেরকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমরপ্লক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক নাসির উদ্দিনকে সিলেটে রেফার করেন।
একটি সূত্র জানায়, শুধু মরম আলীর আত্মীয় স্বজনদের উপর হামলা করেই আব্দুল হাই, তাহির মিয়া গংরা ক্ষ্যান্ত হয়নি এখন তাদেরকে বাড়িঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না। তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে মরম আলী গংদের উপর হামলা করার জন্য।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে মোজাম্মেল হক চৌধুরী খোকনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করেছেন মরম আলী গং।