চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটের রানীগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক ও তার ভাই যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সেক্রেটারী মোঃ আবু তাহেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রানীগাঁও ইউপি নির্বাচন পরবর্তী আতিকপুর গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা দরবেশ আলীকে মারপিট ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত জি.আর ৩৯/২২ (চুনাঃ) মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী আব্দুল মালেক ও তার ভাই আবু তাহের গত সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন-অর-রশিদ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিগত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৯ জানুয়ারি রাতে সাবেক মেম্বার আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে আবুল খায়ের, লিটন মিয়া, আবু তাহের, মোজাম্মেল, জাহাঙ্গীর আলম, রফিক মিয়াসহ একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা দরবেশ আলীকে তার বাড়ির পূর্ব দিকে রাঙ্গাপেটিয়া নামক রাস্তায় পেয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় দরবেশ আলীর ছেলে রাসেল মিয়া বাদী হয়ে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি চুনারুঘাট থানায় মালেক ও তার ভাই আবু তাহের সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই লিটন রায় সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে চলতি বছরের ৬ জুন আদালতে আসামী আব্দুল মালেক ও তার ভাই আবু তাহের সহ মোট ১১ জন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত চার্জশীট গ্রহণ করে আসামী আব্দুল মালেক ও আবু তাহেরের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। আঃ মালেক ও আবু তাহের উক্ত মামলায় গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার ৯নং রানীগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী ও সাবেক মেম্বার আঃ মালেকের বিরুদ্ধে কুদ্দুস হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মেম্বার থাকাকালীন সময়ে আঃ মালেকের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সংযোগে চাঁদাবাজি, মসজিদ উন্নয়নের টাকা, রাস্তা, ব্রীজ, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠে এবং দুই সহোদরের বিরুদ্ধে এলাকায় নানান অভিযোগ রয়েছে।