ফাঁসির রায়ে পাশাপাশি ঘাতককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ॥ রায়ের আগে মারা গেছেন খুনের মামলার আরেক আসামী
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে কুরবানি ঈদের চামড়া ব্যবসার মূলধন দাতাকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ম আদালতের বিচারক মো: আজিজুল হক এ রায় দেন। রায়ে আসামীকে মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রামের মৃত আলিম উল্লাহর ছেলে আব্দুল ওয়াহিদ (৬০)। রায় প্রদানকালে আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মো: মুছা মিয়া বলেন, এ হত্যাকান্ডটি দিনদুপুরে সংঘটিত হয়েছিল। তাই এ রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মামলায় দুইজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। অপর আসামি তার ভাই আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন পূর্বে মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
নিহতের ছেলে রাসেল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবাকে যখন হত্যা করা হয় তখন আমি ছোট ছিলাম। বুঝতেও শিখিনি। আমরা চাই এখন যেন দ্রুত রায় কার্যকর হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে কুরবানির ঈদে চামড়া ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রামের আব্দুল হাই (৪০) একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদ ও তার ভাই আব্দুর রশিদকে ২ লাখ টাকা দেন। তারা ৩ জন অংশীদার ভিত্তিতে ব্যবসা করেন। কথা ছিল আব্দুল ওয়াহিদ ও আব্দুর রশিদ লভ্যাংশসহ আসল টাকা বিনিয়োগকারী আব্দুল হাইকে একসঙ্গে ফেরত দিবেন। কিন্তু অনেক দিন অতিবাহিত হলেও টাকা ফেরত দেই দিচ্ছি বলে তারা সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে একই বছরের ১ জুন আব্দুল হাই টাকা ফেরত চাইতে গেলে আসামিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো: আব্দুল ছফি বাদী হয়ে ঘটনার একদিন পর ২ জুন সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। আদালত ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার উল্লেখিত রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ।