চুরি হয়ে যাচ্ছে বাসা-বাড়িতে লাগানো পৌরসভার পানি সরবরাহের মিটার
পৌর এলাকা হতে ভাঙ্গারি দোকান সরিয়ে না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ॥ মেয়র

হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় ছিঁচকে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। পৌর এলাকার পাড়ামহল্লায় একশ্রেণির মাদকাসক্ত ছিঁচকে চোরের দৌরাত্ম্য পৌরবাসীর জন্য দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, সম্প্রতি পৌর এলাকায় চোরের উপদ্রব বেড়েছে। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় সবসময় ছোটখাটো চুরির ঘটনা লেগেই আছে। তিনি বলেন, শহরে একশ্রেণির মাদকাসক্ত তরুণ-যুবক চুরির দিকে ঝুঁকে পড়ছে। তারা একটু নিরিবিলি পরিবেশ পেলেই বাসা-বাড়ির আঙ্গিনা, বিল্ডিংয়ের পেছনে, বাগান, বারান্দা অথবা জানালার গ্রিল কেটে লোহালক্কর, বালতি, মটর, বাল্ব, কাপড়-চোপড়, মোবাইল ইত্যাদি চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি করা সামগ্রী তারা শহরের আনাচে কানাচে গজিয়ে উঠা ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করে। তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ হতে প্রায় ৩ বছর আগে বাসা-বাড়িতে পানি সরবরাহের মিটার স্থাপন করা শুরু হয়েছিল। অনেক এলাকায় ওই সমস্ত মিটার চুরি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, হবিগঞ্জ পৌরসভা হতে কোথাও ভাঙ্গারির দোকানের ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয় না। এ সকল অবৈধ ভাঙ্গারির দোকানের মালিকদের সাথে চোরচক্রের যোগসাজস থাকে। শহরে ছিঁচকে চোরের উপদ্রব কমাতে ব্যাপকভাবে পুলিশী তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার করা এবং পাড়া মহল্লায় পাহাড়াদারদের সক্রিয় করার মাধ্যমে চোরচক্রের দৌরাত্ম্য কমানো সম্ভব। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন এবং বিভিন্ন এলাকার সচেতনমহলের একযোগে উদ্যোগ গ্রহন করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
তাছাড়া হবিগঞ্জ পৌর এলাকার ভাঙ্গারি দোকানদারগণকে নিজ উদ্যোগে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে ফেলার আহবান জানান তিনি। পৌর এলাকা হতে ভাঙ্গারির দোকানগুলো সরিয়ে না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি হবিগঞ্জ পৌরসভার নাগরিকগণকে চোরের উপদ্রব হতে মুক্ত করতে পাড়া মহল্লায় অভিযান জোরদার করতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। সাথে সাথে শহরের চিহ্নিত চোরচক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও তিনি পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিজ্ঞপ্তি