হবিগঞ্জ শহর কি ময়লা আবর্জনার স্তুপেই ভরপুর থাকবে?
মিলন রশীদ
ময়লায় আবৃত হবিগঞ্জ। না হবিগঞ্জই ময়লার শহর। কোন কথাটি প্রযোজ্য বলা যাচ্ছে না। শহরের হাসপাতাল এলাকা থেকে প্রধান সড়কের উভয় পাশ শুধু নয়, অলিগলি এমনকি ঘাটিয়া বাজার, চৌধুরী বাজার, টাউন হল রোড, বেবি স্ট্যান্ড, সবজি বাজারসহ কোথায় নেই ময়লা নামক আবর্জনার ভাগার? ১৫মাস সময়ের মেয়র চেষ্টা চালিয়েছিলেন তা কতটুকু ফলপ্রসু হয়েছে বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে ভুক্তভোগীরাই এর সাক্ষী। আমরা অভিযোগের তীর একদিকে ছুড়তেই অভ্যস্থ, কিন্তু সড়কের পাশের ব্যবসায়ীসহ বাসিন্দাদেরও যে, একটা দায়িত্ব আছে তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সহ এমন কোন সরকারী বেসরকারী কার্যালয় নেই ময়লা নামক জঞ্জাল নেই। পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলার স্থান দীর্ঘদিনেও নির্ধারণ হয়নি। চেষ্টার কমতি নেই বলে কম শোনেননি শহরবাসী। ঢোল বাজাতে কেউ কার্পণ্য করেননি। শেষ পর্যন্ত শাহ কিবরিয়া অডিটরিয়াম, আনসার কার্যালয় আর হবিগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার প্রাপ্তি আধুনিক স্টেডিয়ামের পাশেই শহরের প্রধান ময়লার ভাগার। পথচারী সহ এপথে যারা যানবাহনে যাতায়াত আর পরিবহন চালিয়ে জীবিকার চাকা চলমান রেখেছেন তারাই অনুধাবন করতে পারছেন যন্ত্রণা নয়, জীবনের অসীম গ্লানি। পরিবেশ আন্দোলনকারী সংস্থা বহুবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে তুলেছেন। শুধু আশ্বাসের বাণীই শুনেছেন। গণমাধ্যমকর্মীরা প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন অবর্ণনীয় দুর্ভোগের চিত্র। কিন্তু পাল্টায়নি অসহনীয় দুর্গন্ধ আর বাতাসে ভেসে আসা ময়লা আবর্জনার ধুলোবালি। যারাই জনগণের রায় নিয়ে পৌর পিতার আসনে আসীন হন, আশ্বাস, প্রতিশ্রুতির বাণী শোনান। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহনের পর এমনই ব্যস্ত হয়ে উঠেন তখন আর সেই আশ্বাস অঙ্গিকার পূরণের সময় হয়ে উঠে না।
একবার দুবার বা তিন বার নয়, বহুকাল থেকেই এ অবস্থা। আগামীতে কি হবে, তা-ই এখন দেখার পালা।
লেখক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট