মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ সারা দেশের মতো নবীগঞ্জে ছেলেধরা গুজব প্রকট আকার ধারণ করেছে। ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যে কয়েকজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। ছেলেধরা গুজব রোধে মঙ্গলবার নবীগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে গণসচেতনতামুলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। পুরো উপজেলায় করা হয়েছে মাইকিং।
সূত্রে প্রকাশ, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে মানুষের মাথা লাগবে’ এমন খবর দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে একটি চক্র। আর এই গুজবে নবীগঞ্জ উপজেলায় ‘ছেলে ধরা’ আতঙ্ক বিরাজ করছে। গুজব আর ছেলেধরা আতঙ্কে পুরো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন চিন্তিত। বানোয়াট তথ্যকে সত্যে রূপান্তর করা হয়েছে মুখে মুখে। চারিদিকে প্রচার করা হচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মানুষের মাথা লাগবে। ছেলে ধরা চক্র নাকি এলাকায় ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং শিশুদের অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করে মাথা কেটে নিয়ে যাচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার সর্বত্র। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের শিশু ও অভিভাবকরা। ‘ছেলে ধরা’ আতঙ্কে গ্রামের শিশুরা বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে। অপরিচিত লোক দেখলেই মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এতে বিপাকে পড়েছে ভিক্ষুকরা। অপরিচিত কেউ ভিক্ষা চাইতে গেলে বেশিরভাগ মানুষেই তাদেরকে ভিক্ষা না দিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে কে বা কারা ছড়িয়ে দিয়েছে ছেলেধরার এমন ভূয়া খবর। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এমন ভূয়া খবর প্রচার করায় তারা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে রয়েছেন উৎকন্ঠায়। অনেকে ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়েও থাকেন চিন্তায়।
এদিকে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর জন্য মাথা ও রক্ত লাগবে এ ধরনের গুজব নিরসনে মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ গুজব। এর কোনো সত্যতা নেই। কোথাও এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি। তবে গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি।’
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com