এসএম সুরুজ আলী ॥ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার কারণে হবিগঞ্জের ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুলগুলোর মধ্যে নবীগঞ্জে ১০টি ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটি এলাকার ৩টি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকার কারণে এসব স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছেন না। ফলে এসব স্কুলের সামনের সমাপনী পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ।
হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নবীগঞ্জ উপজেলায় অকাল বন্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকার বাড়ি ঘর তলিয়ে গেছে। বন্যার পানিতে উপজেলা নিন্মাঞ্চলের ১০টি প্রাইমারী স্কুলের ভিতরে পানি ঢুকে গেছে। স্কুলগুলোর সামনের রাস্তাও পানিতে তলিয়ে গেছে। এ কারণে স্কুলগুলোতে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা যেতে পারছেন না। ক্লাসগুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় স্কুলে ক্লাস করানো সম্ভব হচ্ছে না। আশা করি পানি কমলে স্কুলগুলোতে ক্লাস শুরু করা যাবে। যতদিন স্কুলের ক্লাস করানো না যায় ততদিন শিক্ষার্থীদের বাড়িতে মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করার পরামর্শ দেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৩টি স্কুলের ভিতরে পানি ঢুকে গেছে। সেগুলোতে ক্লাস করানো যাচ্ছে না। পানি কমে গেলে সেগুলোতে ক্লাস করানো যাবে।
অন্যদিকে, বাহুবল উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীননাথ ইনস্টিটিউশন পানিতে ডুবে গেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ জানান, জেলার ভাটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের স্কুলগুলোর রাস্তায় পানি এসেছে। বিশেষ করে নবীগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের সামনের রাস্তায় পানি এসেছে। তবে ওই পানিতে কোন সমস্যা হবে না। শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা-যাওয়া করতে পারবে। শিক্ষকরা নিয়মিত তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন বলে তিনি জানান। তবে যদি বন্যার পানি আরো বাড়ে তাহলে নবীগঞ্জের ২/৩টি স্কুলের ভিতরে পানি ঢুকার আশঙ্কা রয়েছে।