আদালতের নির্দেশনা ও জরিমানা কার্যকরের তাগিদ দিয়েছেন ভূক্তভোগীরা

রায়হান উদ্দিন সুমন, বানিয়াচং থেকে ॥ বানিয়াচং সদরসহ উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিদিন প্রায় শতাধিক বখাটে বেপরোয়া মোটর সাইকেল ড্রাইভ করছে। উঠতি বয়সী কিশোর, যুবক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে কিছু উশৃঙ্খল যুবক এমন বেপরোয়া বাইক চালিয়ে পথচারীসহ স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের করছে বিরক্ত। এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুসহ বৃদ্ধরাও। এমন ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।
একজন অভিভাবক বলেন, উপজেলা সদরে এক শ্রেণির উশৃঙ্খল যুবক মোটর বাইকে চড়ে বেপরোয়া হয়ে উঠে। সময় হাতে না নিয়ে দ্রুত কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছতে বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে থাকে তারা। অনেক সময় আরোহীর সংখ্যা দুইয়ের বেশি হয়। আবার চালানোর সময় কানের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা বলতেও দেখা যায়। বিভিন্ন রাস্তায় খুব দ্রুত গতিতে আক্রমণাত্মকভাবে মোটর সাইকেল চালিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে এরা। বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে এসে বেপরোয়া ভাবে মোটর সাইকেল চালিয়ে শিক্ষার্থীদের নজরে আসার চেষ্টা করে তারা। জনবহুল এমনকি হাট-বাজারে এসে কানের কাছে জোরে গাড়ির হর্ণ বাজিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চালকরা। এদের অধিকাংশেরই নেই যান চলাচলের ড্রাইভিং লাইসেন্স। নেই গাড়ির সঠিক কাগজপত্রও। এরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এবং রাজনৈতিক পরিচয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
রুমান আহমেদ নামে একজন পথচারি জানান, মোটর সাইকেল চালকদের কিসের যেন তাড়া থাকে। তারা একটু সময় কোথাও দাঁড়াতে রাজি নয়। বরং সময় বাঁচাতে তীব্র হর্ণ দিয়ে বেপরোয় গতিতে রাস্তার উপর দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যায়। এদের এই দৌরাতœ বন্ধ করতে তিনি আদালতের নির্দেশনা ও জরিমানা কার্যকরের তাগিদ দেন।
জামিল হোসেন নামে একজন ব্যবসায়ী জানান, মোটর সাইকেল চালকদের মধ্যে এক ধরণের ক্ষমতার দাপট দেখানোর প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এসব থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দরকার।
শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান জানান, অনেক চালক মনে করেন মোটর সাইকেল মানেই গতি। বেশি গতি উঠালে যে নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়, সেটা তাদের মাথায় থাকেনা।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার সামন্ত বলেন, বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই চেকপোস্ট বসিয়ে এসকল বখাটে ও লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেল আটক করে মামলা দেয়া হচ্ছে। অধিকাংশ চালক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। থানা পুলিশ এ সকল চালকদের বিরুদ্ধে আগের চাইতে আরো কঠোর অভিযান পরিচালনা করবে।