স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে পরিত্যাক্ত খোয়াই নদী দখল করে বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এমনকি ওই এলাকার সাধারণ মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েন এবং নর্দমার মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে করে নানান ভোগান্তির শিকারও হন তারা।
স্থানীয়রা জানান, অনন্তপুর থেকে হরিপুর পর্যন্ত পুরো মরা খোয়াই নদী দখল করে প্রায় ৫ শতাধিক পাকা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেরই কোন বৈধ কাগজপত্র নাই। আর যাদের কাগজপত্র রয়েছে সেটাও পাকা ঘর কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার জন্য। অথচ দেখা যায় কোন কোন এলাকায় তিন তলা, চার তলা, ফ্ল্যাট বাড়ি। গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, অনন্তপুর, নিউ মুসলিম কোয়ার্টার, সিনেমা হল, জিলপার, উত্তর শ্যামলী, দক্ষিণ শ্যামলী হরিপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় খোয়াই নদীর মধ্যখানে এসব অবৈধ স্থাপনা। এসময় ওই এলাকার কয়েকজন মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, কেউ কেউ দখল কিনেছেন আবার কেউ লিজ নিয়েছেন। আবার কেউ এমনি আছেন। দীর্ঘ বছর ধরে এসব অবৈধ স্থাপনার মধ্যে বিদ্যুত ও গ্যাস সংযোগ রয়েছে। অনেক প্রভাবশালী মালিকরা এসব বিল্ডিংয়ের ভাড়া দিয়ে মাসে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাই স্থানীয়দের দাবি চলমান উচ্ছেদ অভিযানে খোয়াই নদীরও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে হবিগঞ্জ শহরকে জলাবদ্ধমুক্ত করা হউক। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রুবেল জানান, খোয়াই নদীর অবৈধ স্থাপনা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হবে। সামনে যেহেতু পৌর নির্বাচন সেই জন্য উচ্ছেদের কাজ বন্ধ থাকবে। নির্বাচনের পর থেকে খোয়াই নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।