শায়েস্তাগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলাসভায় এমপি আবু জাহির

মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির ৪র্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ জুন বিরামচর এলাকায় অস্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমী আক্তারের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
সভায় মোঃ আবু জাহির এমপি বলেন- জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আজ দেশের মানুষ শান্তিতে রয়েছে। স্থান স্থানে উন্নয়ন কাজ চলছে। তিনি বলেন- শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পর্যায়ক্রমে শায়েস্তাগঞ্জকে পৌরসভা, থানা ও উপজেলা করেছে। সবাইকে সাথে নিয়ে এ উপজেলাকে মডেল হিসেবে গড়তে চাই। সভায় ১৮ জুন শায়েস্তাগঞ্জে কালো টাকামুক্ত অবাধ নিরপেক্ষ শান্তিপূর্ণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনে কেউ কালো টাকা ছড়ানোর চেষ্টা করলেই আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করুন। এছাড়া জুয়া, মাদক, ইভটিজিং, অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিরোধে সবাইকে একযোগে করে যাওয়া জন্য সভায় আহবান জানানো হয়।
সভায় উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান, শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুল হাসান চৌধুরী শাহীন, মডেল কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সাগর উদ্দীন ভূইয়া, জহুরচান বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন রুমী, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন, শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি অসিত রঞ্জন দাশ মন্টু, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবিদুর রহমান, ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য পান্না ইসহাক, লাকী আক্তার, মোমেনা খাতুন, রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম খান, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আ স ম আফজল আলী, রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মোঃ মামুন চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত হয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
সভায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেন, নতুন উপজেলার প্রথম নির্বাচন এটি। কালো টাকা বিতরণসহ আইন বিরোধী কর্মকান্ডের মাধ্যমে যদি কেউ এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।