মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ২১ মে। ২৩ মে হয় যাছাই-বাছাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৩০ মে। ৩১ মে প্রতিক বরাদ্দ পেয়ে প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেন। ১৬ জুন দিবাগত মধ্য রাত থেকে প্রতিক লড়াইয়ের প্রচারণা শেষ। রাত পোহালেই ১৮ জুন ১৮টি কেন্দ্রে কাক্সিক্ষত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
শেষ প্রচারণায় প্রার্থীরা নিজ নিজ কর্মী সমর্থক নিয়ে উৎসবে মেতেছিলেন। উপজেলা শহরজুড়ে ছিল উৎসব। এ আনন্দ উৎসব যেন শেষ হবার নয়। তবুও নিময়কে শ্রদ্ধা করতে হয়েছে। নিময় মেনে প্রচারণা শেষ করতে হলো। এখানে শেষ হয়ে হইল না শেষ। কারণ বিজয়ের আনন্দটা সবাই উপভোগ করতে না পারুক নির্বাচনে জয়ীদের উৎসব শেষ হলো না। তাদের জন্য রয়ে গেল অপেক্ষা।
কারা শেষ হাসি হাসবেন? এটা প্রমাণ হবে ভোটের মাধ্যমে। ভোটাররাই ব্যালটে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। ব্যালট পেপার গণনা করে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা দিবেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। এ অপেক্ষার পালা বড়ই কঠিন।
সূত্র জানায়, এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল নৌকা নিয়ে, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল আনারস ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমেদ খান ঘোড়া প্রতিক নিয়ে একে অপরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যানদের ন্যায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি গাজিউর রহমান ইমরান (মাইক), বিএনপি নেতা সৈয়দ তানবির আহমেদ জুয়েল (চশমা), আওয়ামী লীগ নেতা বদরুল আলম দিপন (টিউবওয়েল), খন্দকার শফিক মিয়া সরদার (তালা), মো. আব্দুল মতিন মাস্টার (বই) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেরা সুলতানা হ্যাপী (কলস), মমতাজ বেগম ডলি (প্রজাপতি), রুবিনা আক্তার (ফুটবল), পারভিন আক্তার (হাঁস) ও মুক্তা আক্তার (পদ্মফুল) প্রতিক নিয়ে প্রচারণায় রয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। বিজিবি ও পুলিশ টহল রয়েছে। ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন- শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখছে।