আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবালের মাসিক আয় ২২ হাজার ৫শ’ টাকা ॥ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলালের মাসিক আয় ১ লাখ ৮ হাজার ৫২৭ টাকা ॥ আলী আহমেদ খাঁনের মাসিক আয় ১৪ হাজার ৫৮৩ টাকা

॥  সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহীম ॥

আর মাত্র ২ দিন পর হবিগঞ্জ জেলার নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী, ভাইস পদে ৫জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরকে নিজেদের আয়-ব্যয়, সম্পদের বিবরণ ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হয়েছে। প্রত্যেক প্রার্থী নোটারী পাবলিকে হলফনামার মাধ্যমে নিজেদের যেসব তথ্য নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন তা দৈনিক হবিগঞ্জের মুখের পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো।
আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ঃ আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার লেঞ্জাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মরহুম নিম্বর আলী তালুকদার ও মরহুমা মোছাঃ ছায়েমা বেগমের পুত্র। তিনি ১৯৬৭ সালের ৫ মে জন্মগ্রহণ করেন। হলফনামায় তিনি তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী উল্লেখ করেছেন। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। হলফনামায় তাঁর নিজ নামে ৪০ শতক কৃষি জমি রয়েছে। যার অর্জনকালীন মূল্য ৬ হাজার ২৫০ টাকা। দশমিক ১৬ শতক, দশমিক ১ শতক, দশমিক ৩৩১ শতক অকৃষি জমি রয়েছে। যার অর্জনকালীন মূল্য ১৫ হাজার ১২৫ টাকা। জনতা ব্যাংক শায়েস্তাগঞ্জ শাখায় তাঁর ১০ লাখ টাকার সিসি লোন রয়েছে। হলফনামায় তিনি বাৎসরিক আয় হিসেবে উল্লেখ করেন কৃষি থেকে ৪ হাজার টাকা, বাড়ি ভাড়া ২০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজ নামে ৪ লাখ টাকা দামের একটি প্রাইভেট কার রয়েছে। স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারাদির পরিমাণ অর্জনকালীন সময়ের মূল্য ৩ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীসহ অন্যান্য মালামাল রয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং আসবাবপত্র রয়েছে ২ লাখ টাকার। তবে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই।
মোঃ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল ঃ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল স্বতন্ত্র প্রার্থী ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক। নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম কাইউম চৌধুরী ও মোছাঃ রাবিয়া খানম চৌধুরীর পুত্র। তিনি ১৯৬১ সালের ২ মে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা (ইন-কমার্স)। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে অতীতে কোন মামলা ছিল না। বর্তমানে ২টি মামলা রয়েছে। তিনি বাৎসরিক আয়ের খাতগুলো মধ্যে কৃষি থেকে ৩০ হাজার, তার নির্ভরশীলদের ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকের জমা এফডিআর থেকে ১০ লাখ ২২ হাজার ৩২৬ টাকা। অস্থাবর সম্পদের তার নগদ টাকা রয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৪৯৯ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯৯ টাকা, এফডিআর ১ কোটি ৬৩ লাখ ১৬ হাজার ৯১৪ টাকা। পরিবহন রয়েছে ৩১ লাখ টাকা দামের, স্বর্ণ ৭৫ হাজার, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ৪০ হাজার ও আসবাবপত্র রয়েছে ৩৫ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর নামে এফডিআর রয়েছে ২০ লাখ টাকা, নির্ভরশীল ১৫ লাখ টাকা, তার স্ত্রীর স্বর্ণ রয়েছে ১ লাখ টাকার, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ৬০ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নিজ নামে ৫.০২ একর জমি যার মূল্য ১ লাখ টাকা, ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার অকৃষি জমি রয়েছে তার। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪৬ শতক অকৃষি জমি যার অর্জনকালীন ৪৫ হাজার টাকা, ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৫শতক ভূমির উপর দালানের মূল্য ৯৫ লাখ টাকা।
আলী আহমেদ খাঁন ঃ আলী আহমেদ খাঁন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি কাজীরগাও গ্রামের মাজুম হোসেন খাঁন ও গুনচান বিবির পুত্র। হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বশিক্ষিত উল্লেখ করেছেন। কৃষিখাত থেকে তার বাৎসরিক আয় ২৫ হাজার টাকা, অন্যান্য খাত থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, তার স্ত্রীর ভাড়া বাবদ আয় ৪০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা রয়েছে ৫০ হাজার টাকা, তার বৈবাহিক সূত্রে প্রাপ্ত স্বর্ণ রয়েছে ৫ তোলা, ইলেকট্রনিক্স ৭০ হাজার ও আসবাবপত্র ৫০ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ৭ একর কৃষি জমি ও শতক বাড়ি রকম ভূমি টিনশেড সেমি পাকা ঘর রয়েছে। তার স্ত্রীর ৪ রকদার কৃষি জমি যার অর্জনকালীন মূল্য ৮ হাজার টাকা, হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ রোডে তার স্ত্রীর নামে ভূমিতে বাণিজ্যিক দালান রয়েছে যার অর্জনকালীন মূল্য ১৫ লাখ টাকা। এছাড়াও তার স্ত্রীর ২৪ শতক বাড়ি রকম ভূমি রয়েছে যার অর্জনকালীন মূল্য ৪০ হাজার টাকা। তবে তার বিরুদ্ধেও কোন মামলা নেই।