চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্র ইব্রাহিম মিয়া রকির লাশ গ্রামের বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলার গেরারুক গ্রামে দাফন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জানাজার নামাজ শেষে গেরারুক দিঘীরপাড় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। জানাজার নামাজে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইউপি সদস্যসহ এলাকার শত শত মুসল্লী অংশ নেন। এসময় অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ইব্রাহিম মিয়ার লাশ গ্রামের বাড়ি এসে পৌঁছলে আত্মীয় স্বজনদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে। গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। ইব্রাহিম মিয়ার হত্যাকান্ড কেউই মেনে নিতে পারছেন না। নিহতের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন দ্রুত আসামী গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন।
নিহতের নানা লিটন জমাদার বলেন, যে বা যারাই এমন নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি। নিহতের পিতা দুলাল মিয়া বলেন, আমার সাথে পাড়ার কারো কোন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল না। তারপরও কেন আমার এ নিস্পাপ শিশু ছেলেকে এভাবে হত্যা করলো। আমি তাদের ফাঁসি চাই।
নিহতের মা মমতাজ বেগম বলেন, আমার ছেলে কারো সাথে কোন সময় ঝগড়া বিবাদ করেনি। কারো সাথে আমাদের বিরোধও নেই। তাকে কারা মেরেছে, আমি জানি না। তবে তাদের খুঁজে বের করে ফাঁসি দাবি করছি।
প্রসঙ্গত, উপজেলার গেরারুক গ্রামের দুলাল মিয়া শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ রোডে মতিন মিয়ার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। সেখানে দুলাল মিয়া গরুর মাংসের দোকান চালাতেন এবং তার ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া করাতেন। দুলাল মিয়ার একমাত্র ছেলে ইব্রাহিম মিয়া রকি শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে এবং একমাত্র মেয়ে প্রাইমারী স্কুলে পড়তো। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইব্রাহিম মোবাইলে ফ্ল্যাক্সি দিতে বের হলে আর ফিরে আসেনি। তাকে না পেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। পরদিন সকাল ১১টায় দক্ষিণ ভাড়াউড়ার বুড়বুড়িয়া চা-বাগানে একটি গাছের সাথে রকির মৃতদেহ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ইব্রাহিমের লাশ সনাক্ত করেন।
দ্রুত আসামী গ্রেফতার ও বিচারের দাবি পরিবারের
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com