নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মুক্তাহার গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুরুতর আহত অনুময় দাশ মারা গেছেন। বুধবার সকালে নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েন। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা পিজি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাকে। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি নিহতের স্বজনদের মাঝে বিরাজ করছে উত্তেজনা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাওঁ ইউনিয়নের মুক্তাহার গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বছরের ১০ অক্টোবর সকালে মুক্তাহার স্কুল মাঠে দু’পক্ষের লোকের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। এতে অনুময় দাশসহ উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অনুময় দাশসহ গুরুতর আহত ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর আহত অনুময় দাশের অবস্থার অবণতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা পিজি হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে গত ১২ জানুয়ারি তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় নিজ বাড়িতে অনুময় দাশ মারা যান। পরে মৃতদেহ নবীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হলে পুলিশ লাশের ছুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে।
প্রসঙ্গত, বিবদমান দু’গ্রুপের মধ্যে এক গ্রুপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সেক্রেটারী শৈলেন চন্দ্র দাশ। অপর গ্রুপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা রতœদীপ দাশ রাজু। নিহত অনুময় দাশ শৈলেন দাশের পক্ষের লোক এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অনন্ত দাশের ছোট ভাই বলে জানা গেছে।