স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুরে যৌতুকের জন্য ঘরে আটকে রেখে এক গৃহবধুকে অমানসিক নির্যাতন করেছে স্বামী। স্বামীর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ওই গৃহবধুকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্যাতিত গৃহবধু ফারজানার ভাই শাহাদাত হোসেন নয়ন বাদি হয়ে স্বামী শফিকুল ইসলাম বাবুলকে প্রধান আসামী করে শনিবার মাধবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- ২০১৪ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি উপজেলার দেবপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর মেয়ে ফারজানা আক্তার হ্যাপিকে একই উপজেলার বৈষ্ণবপুর গ্রামের মৃত ইমতিয়াজ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বাবুলের কাছে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় নগদ ৩ লাখ টাকাসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল যৌতুক হিসাবে দেয়া হয়। বিয়ের ২ বছর পর বাবুল বিদেশ যাওয়ার জন্য ফারজানার পরিবারের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা এনে দেয়ার দাবি করে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ফারজানার পরিবার ৩ লাখ টাকা দিয়ে তাকে বিদেশ পাঠায়। বছর তিনেক পর বাবুল বিদেশ থেকে দেশে চলে আসে। বিদেশ থেকে আসার পর বাবুল বেকার হয়ে গেলে আবারো ফারজানাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকে। টাকা না দিতে পারায় শুক্রবার রাতে ফারজানাকে তার স্বামী বাবুল ঘরে আটক রেখে অমানসিক নির্যাতন করে। খবর পেয়ে ফারজানার ভাই শাহাদাত হোসেন নয়ন মাধবপুর থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে ফারজানার শ^শুর বাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেন জানান- এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।