স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বাস করে প্রেমিকের আহবানে সাড়া দিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বেড়াতে গিয়েছিল হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের এক ছাত্রী। কিন্তু লম্পট প্রেমিক সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করে তার বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় মেয়েটি নিজে বাদী হয়ে লম্পট প্রেমিকসহ ৫ জনকে আসামী করে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা দায়ের করেছেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করে চুনারুঘাট থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাতাসর গ্রামের শামীম আহমেদ মামুনের সাথে বৃন্দাবন সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত ২য় বর্ষের ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সুবাদে মামুন তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করতো। প্রেমের সম্পর্কের দাবিতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায়ই বাদিনীর সাথে মামুন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতো। মঙ্গলবার দুপুরে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বেড়ানোর কথা বলে মামুন কৌশলে প্রেমিকাকে কলেজ থেকে জাতীয় উদ্যানের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থানরত মামুনের বন্ধুরা মেয়েটিকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে বলপূর্বক জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক শামীম তাকে ধর্ষণ করে। পরে মামুনের বন্ধু ফজলুর রহমান (২৪), আলী হোসেন (২৫), জুনেদ লতিফ (২৭) পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। আক্কাছ আলী নামে একজন ছিল পাহারায়। গণধর্ষণের কারণে মেয়েটি মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হন। ধর্ষকরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর মেয়েটি লোকালয়ে এসে চিৎকার করলে আশপাশে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ নিয়ে এলে তিনি আত্মীয়-স্বজনকে ঘটনাটি জানান। তারা এসে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। পরে মেয়েটি আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলায় সকল ধর্ষক ও ধর্ষকদের পাহারাদারকে আসামী করা হয়।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি শেখ নাজমুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শুনেছি এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনো আদেশ থানায় এসে পৌঁছেনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল।