স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরতলীর রামপুর গ্রামে রুমা রানী রায় নামে এক গৃহবধুকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধুকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রুমা রানী রায় রামপুর গ্রামের লোকেশ রায়ের স্ত্রী।
সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের লোকেশ রায় গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি উত্তম রায়ের বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে উত্তম রায় গং গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লোকেশ রায়ের বাড়িতে যান। এ সময় লোকেশ রায়ের বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় উত্তম রায়সহ অন্যান্যরা গালিগালাজ করতে থাকেন। লোকেশ রায়ের স্ত্রী রুমা রানী রায় এর প্রতিবাদ করলে তারা উত্তেজিত হয়ে রুমার ঘরে প্রবেশ করে তার উপর হামলা চালিয়ে শ্লীলতাহানি করে। এক পর্যায়ে রুমা শোর চিৎকার করলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত রুমা রানী রায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় রুমা রানী রায় বাদী হয়ে তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি উত্তম রায়সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কগ-১) আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- রামপুর গ্রামের সুকুমার রায়ের ছেলে সুজিত রায়, সুনিল রায়ের ছেলে সুকেশ রায় ও প্রয়াত সীতেশ রায়ের ছেলে সাজু রায়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৭দিনের মধ্যে আদালতে এমসি দাখিল করার জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের আরএমওকে নির্দেশ দেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই উত্তম রায় গংরা মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য রুমা রানী রায়কে হুমকি দিয়ে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে- গতকাল মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে উত্তম রায় রুমা রানীকে চুরিকাঘাত করেন। এতে তিনি আহত হন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে রুমা রানী রায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।