![](https://dailyhabiganjermukh.com/wp-content/uploads/2019/12/UNIVERSITY.jpg)
এসএম সুরুজ আলী ॥ ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ নিউফিল্ডে বিশাল জনসভায় জেলাবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নিকট তিনটি বড় দাবি উপস্থাপন করেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি। দাবিগুলো হলো- হবিগঞ্জে কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ঘোষণা। বারবার নৌকার বিজয়ের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র হবিগঞ্জের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি থাকায় নিজের বক্তৃতার সময় সকল দাবি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলে নিউফিল্ডে অবস্থিত লাখো জনতার মাঝে সৃষ্টি হয় উল্লাস। এই ঘোষণার অল্পদিনের মাঝেই বাস্তবায়ন হয় মেডিকেল কলেজ। নামকরণ হয় শেখ হাসিনা’র নামে। গত বছর নিকারের বৈঠকে ঘোষণা করা হয় শায়েস্তাগঞ্জকে নতুন এবং দেশের সর্বশেষ উপজেলা। সবচেয়ে বড় দাবি কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ও এবার বাস্তবায়নের পথে। সোমবার মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে কৃষি বিশ^বিদ্যালয় আইন চুড়ান্তভাবে অনুমোদন পেয়েছে।
সোমবার মন্ত্রী পরিষদ এর সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী পরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ১ এপ্রিল মন্ত্রী পরিষদের সভায় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ^বিদ্যলয় আইন এর খসড় কতিপয় পর্যবেক্ষণসহ নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছিল। গত ৭ নভেম্বর লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে ভেটিং গ্রহণ করা হয়। এই আইনে ৫৪টি ধারা ও ২৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় আইন চুড়ান্ত অনুমোদনের খবরে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জকে গোপালগঞ্জ মনে করেন বলেই আমাদের সকল দাবি আজ পূরণ হয়েছে। কৃষি বিশ^বিদ্যালয় আইন চুড়ান্ত হওয়ায় হবিগঞ্জবাসী আজ আনন্দিত। এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জবাসীর প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক।
সেমবার মন্ত্রী পরিষদে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন নীতিগতভাবে অনুুমোদনের খবর ছড়িয়ে পড়লে হবিগঞ্জে সবার মাঝে আনন্দ উল্লাশ বিরাজ করে।
হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, হবিগঞ্জবাসীর জন্য এই খবর আনন্দের। হবিগঞ্জকে অতীতে কোন সরকার এত বড় উন্নয়ন এনে দিতে পারেননি। এটি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপির প্রচেষ্টা আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার জন্য সম্ভব হয়েছে।
হবিগঞ্জ সরকারী বৃন্দাবন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র দেব বলেন, হবিগঞ্জ এক সময় অবহেলিত ছিল। এখন এই জেলা অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে। একটি এলাকাকে আরও এগিয়ে নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলে হবিগঞ্জ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। তবে এটি যাতে গতানুগতিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।
হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল বলেন, হবিগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সময়ের দাবি ছিল। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধি যখন নিজ এলাকায় শিক্ষার উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করেন তখন এ ধরনের দাবি পূরণ সহজ হয়ে যায়। এমপি আবু জাহির যেভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন তার মাধ্যমে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন হবে এই প্রত্যাশা আমাদের ছিল। হবিগঞ্জে যে হারে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু হলে নতুন মাত্রা যোগ হবে। যখন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস হয়ে যাবে তখন হাওর এলাকার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে হবিগঞ্জ জেলা। এর মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষানগরী হিসাবে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।