এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে দলীয় জনপ্রতিনিধিগণ ভোটার তালিকায় কে কত নাম্বারে স্থান পেয়েছেন এবং কোন কোন জনপ্রতিনিধি ভোটার হতে পারেননি তা জানার জন্য গতকাল দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকায় অনেক পাঠক ফোন করেছেন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির তালিকা থেকে তা তুলে ধরা হলো। কাউন্সিলের এক নম্বর ভোটার হলেন- হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি। ১০নং ভোটার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। ৩৮নং ভোটার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী, ৩৯নং ভোটার হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোঃ শাহনওয়াজ মিলাদ, ৪০ নং ও ১৭৩ নং ভোটার বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। তাকে জেলা আওয়ামীলীগ ও মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ভোটার মনোনীত করা হয়েছে। তিনি ভোটার দুই জায়গায় হলেও ভোট দিতে পারবেন একটি। অপরদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামীলীগ দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রগণকে কাউন্সিলে ভোটার হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান ১৪নং ভোটার, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল রশিদ তালুকদার ইকবাল ৮৮নং, লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ ২৩৫নং, বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী ৩২৬নং ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম ৩৩৮ নং ভোটার। পৌরসভায় আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়রদের মধ্যে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া ৯৮নং ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান ৩৪৪ নং ভোটার। উল্লেখযোগ্য জনপ্রতিনিধি যারা ভোটার তালিকায় নেই তারা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক সেলিম, চুনারুঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর, মাধবপুর পৌরসভার আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র হিরেন্দ্র লাল সাহা।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক সদস্য জনান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ নিজ নিজ উপজেলার ভোটার তালিকা পাঠিয়েছেন। কাদের রাখা হয়েছে, কাদের রাখা হয়নি সেটি তারাই জানেন।