নৃত্যশিল্পী কাবেরী রায় পিউ হবিগঞ্জ শহরের রামকৃষ্ণ মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা। সে এ বছর হবিগঞ্জের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড্স কেজি এন্ড হাই স্কুল থেকে পিইসি সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বয়সে ছোট হলেও ইতোমধ্যে সে তার মেধা ও যোগ্যতায় দেশ জয় করে তুরস্কের কয়েকটি বিখ্যাত মঞ্চে পারফর্ম করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। তার শিক্ষার প্রথম পাঠ শুরু হয় শহরের স্বনামধন্য শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাতৃছায়া কেজি এন্ড হাই স্কুল থেকে। আর ওই সময় থেকেই সে নৃত্য চর্চা শুরুর করে। শিশুবেলা টিভিতে নৃত্য দেখে দেখে নৃত্য শিখতে থাকে পিউ। নৃত্যের প্রতি পিউ’র আগ্রহ দেখে পিতা-মাতা তাকে নৃত্য শেখানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাকে পারদর্শী করে তুলতে হবিগঞ্জের প্রখ্যাত নৃত্য প্রশিক্ষক প্রবীর চন্দ্র শীলের দ্বারস্থ হন। শিক্ষকের যোগ্য দিক নির্দেশনা পেয়ে পিউ নিজেকে নৃত্যে পাকাপোক্ত করে তুলে। সে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০১৮ এ সিলেট অঞ্চল পর্যায়ে সৃজনশীল নৃত্যে ‘ক’ শাখায় ২য়, ২০১৭ সালে দেশব্যাপী বয়স্ক ও বিষয় ভিত্তিক নৃত্য প্রতিযোগিতায় সেরা দশে স্থান লাভ করে। ২০১৯ সালেও জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় সৃজনশীল নৃত্যে জাতীয় পর্যায়ে এবং সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম স্থান লাভ করে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি হবিগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত সাংস্কৃতিক উৎসব, ইসকন হবিগঞ্জ, লোকনাথ সেবা সংঘ হবিগঞ্জ আয়োজিত নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখে। বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পীসংস্থা ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ আয়োজনে দেশব্যাপী বিষয় ভিত্তিক নৃত্য, লোকনৃত্য ও সাধারণ নৃত্যে ‘ক’ শাখায় পিউ সেরা দশ জনের একজন নির্বাচিত হয়। তুরস্ক রেডিও টেলিভিশন (টিআরটি) আয়োজিত শিশু উৎসবে দেশ সেরা ১৬ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা তুর্কি রেডিও টেলিভিশন আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। তুরস্কের বিখ্যাত মঞ্চে পারফর্ম করে পিউ দেশের মুখ উজ্জল করে। তার নৃত্যে মুগ্ধ হয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাকে সার্টিফিকেট ও গিফট প্রদান করেন। যা শুধুমাত্র দুইজন বাংলাদেশীকে প্রদান করা হয়। তার পিতা সনাতন রায় একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আর মা মৌসুমী রায় একজন আদর্শ গৃহিণী। পিউর অবসর সময় কাটে খেলাধুলা করে। তার প্রিয় খাবার মাছ-মাংস, প্রিয় ফল আম, প্রিয় ফুল শাপলা আর প্রিয় রং লাল। পিউ ভবিষ্যতে লেখাপড়া করে ইঞ্জনিয়ার হয়ে দেশের জন্য কিছু করতে চায়। এজন্য সে সকলের আশির্বাদ ও দোয়া কামনা করেছে।
-মঈন উদ্দিন আহমেদ