খাদ্য অধিকার প্রচারাভিযান সপ্তাহে হবিগঞ্জে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খাদ্য প্রত্যেক মানুষের প্রধানতম অধিকার। সবার জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্য অধিকার আইনের বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বাংলাদেশের প্রায় আড়াই কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। দেশের সব মানুষের মৌলিক অধিকার ‘পুষ্টিকর খাদ্য’ নিশ্চিত করতে হলে দ্রুত খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়কেই এ আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। বুধবার হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ নিমতলায় খাদ্য অধিকার প্রচারাভিযান সপ্তাহ উপলক্ষে খাদ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের দাবিতে খানি বাংলাদেশ সহযোগিতায় এসডিএম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
বক্তাগণ বলেন, খাদ্যে ভেজাল থাকায় প্রতি বছর বিভিন্ন প্রাণঘাতি রোগসহ ডায়রিয়া ও অপুষ্টিতে ভূগছে অসংখ্য মানুষ। এতে বয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বক্তাদের অভিমত বেশিরভাগ ভেজাল খাদ্য কঠিন ও জটিল রোগের জন্য দায়ী। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের দরকার সুষম ও নিরাপদ খাদ্য। এ ব্যাপারে পরিবার পর্যায়ে যেমন সচেতনতা দরকার তেমনি রাষ্ট্রকেও দায়িত্ব নিতে হবে যাতে মানুষ বাজার, রাস্তাঘাট এবং হোটেল রেস্তোরাঁয় অনিরাপদ বা ভেজাল খাদ্য গ্রহণ করে আক্রান্ত না হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেন- সাবেক বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফজলুর রহমান, এসডিএম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সুব্রত দাস বৈষ্ণব, অ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ চন্দ্র শীল, সাবেক ব্যাংকার মোঃ বদর উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইসরাইল মিয়া, দি নিউ ন্যাশন হবিগঞ্জ প্রতিনিধি সালাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুদ্বীপ দাস, দৈনিক সংবাদ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাংবাদিক শাহ মামুনুর রশিদ, এনজিও প্রতিনিধি বিউটি মনি বৈষ্ণব, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনির, ফারুক চৌধুরী, মিনহাজ¦ উদ্দিন আহমেদ সাজ্জাদ, হ্যাপী আক্তার, রীনা পালসহ শতাধিক নারী-পুরুষ।
মানববন্ধনে বক্তাগণ দারিদ্র্য প্রবণ এলাকা ও জনগোষ্ঠির মধ্যে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তাসহ দারিদ্র্র্য বিমোচনে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ, নারী ও শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ক্ষেত্রে উপকারভোগী নির্বাচন নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পুষ্টিকর খাদ্যসহ সব ক্ষেত্রে যথাযথ পূর্ব প্রস্তুতি নিশ্চিত করা, বরাদ্দ অনুযায়ী উপকারভোগীদের খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি গঠন, নিরাপদ খাদ্য আইন ও জনগণের করণীয় সম্পর্কে তৃৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা, নিরাপদ খাদ্যের ক্ষেত্রে অপরাধীদের আইনানুগ শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।