স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ পৌর এলাকার উমেদনগরে পৃথক মৌজায় ৬৪ শতক জায়গা ক্রয়ের পরও দখলে নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন উমেদনগর এলাকার ব্যবসায়ি মর্তুজ আলী।
সূত্র জানায়- ১৯৮৩ ও ১৯৮৮ সালে পৃথকভাবে উমেদনগর এলাকার মমিনুল ইসলামের ওয়ারিশানের কাছ থেকে আতুকুড়া ও কামড়াপুর মৌজার বেশ কিছু জায়গা ক্রয় করেন উমেদনগর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মর্তুজ আলী। পরে জায়গাগুলো মর্তুজ আলী ও তার ছেলেদের নামে রেকর্ড করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পর ২০১৪ সালে হঠাৎ করেই রেকর্ড সংশোধনের আবেদন জানিয়ে ল্যান্ড সার্ভে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন হালিমা খাতুন ও তার বোনেরা। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৫ মে ও ২৫ মে পৃথক শুনানীতে আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়ে আরএস রেকর্ড বহাল রাখেন।
সবশেষ চলতি বছরের ৫ নভেম্বর আদালতকে জানিয়ে ওই জায়গায় মাটি ভরাট শুরু করেন মর্তুজ আলী ও তার ছেলেরা। কিন্তু মাটি ভরাটের সময় বাঁধা প্রদান করেন হালিমা খাতুন ও তার লোকজন। এমনকি তারা মর্তুজ আলীর পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। এক পর্যায়ে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন মর্তুজ আলী।