হবিগঞ্জের কিন্ডারগার্টেনগুলোর সাফল্যগাঁথা (তিন)

জানুয়ারি থেকে স্কুল ক্যাম্পাসে শিশুদের সাঁতার শেখানো হবে ॥ চালু করা হবে টেবিল টেনিস ও ক্রিকেট প্রশিক্ষণ

মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ হবিগঞ্জে প্রথম কম্পিউটার বেইজ্ড যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘বাড্স কম্পিউটার বেইজড কিন্ডারগার্টেন’। যার পথচলা শুরু ১৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে। আর আজ সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা হাজারেরও অধিক। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বাড্স কেজি এন্ড হাই স্কুল নামে পরিচালিত হচ্ছে।
বাড্স কম্পিউটার বেইজড কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আহমদুল কবীর বারভূইয়া পুলক বলেন, ১৯৯৫ সালে লক্ষ্য করি আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে জানার আগ্রহ কম। তখন আমি ও নুরউদ্দিন জাহাঙ্গীর সিদ্ধান্ত নেই একটি মানসম্পন্ন কোচিং সেন্টার করার। কয়েকজন উদ্যমী তরুণকে খুঁজে বের করি। বাসার পাশে ছোট একটি রুমে কোচিং সেন্টারের কাজ শুরু করি। নিজেদের পরিচিতজনদের মধ্য থেকে ১৭ জন ছাত্র খুঁজে বের করি। বাসার পাশে ছোট একটি রুমে আমাদের স্বপ্নের বীজ বপন করি। ১৯৯৬ সালে আমাদের কোচিং সেন্টার থেকে প্রথম ব্যাচ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রথমবারই তারা চমক সৃষ্টি করে। তাদের সাফল্য দেখে নিজেদেরই তাক লেগে যায়। আমাদের এখান থেকে যারা পাশ করেছে তাদের মধ্যে আজ ২ জন মেজর, ২ জন ডাক্তার, ২ জন রেডিওলজিস্ট, শিক্ষকসহ নানা উচ্চ পদে আসীন। তাদের এ সাফল্য আমাদেরকে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করে। আরো বেশি করে স্বপ্ন দেখায়। আমরা কোচিং সেন্টার চালাতে গিয়ে দেখলাম সকালের শিফ্ট এবং বিকেলের শিফ্টে কোচিং থাকলেও মাঝের সময়টা থাকে ফাঁকা। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম ওই সময়টাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়। আমরা ছাত্রদের পড়ালেখা করানোর সময় লক্ষ্য করলাম তাদের মধ্যে অনেক গ্যাপ রয়েছে। তাদের মধ্যে জানার আগ্রহও কম। সিদ্ধান্ত নিলাম স্কুল প্রতিষ্ঠা করার। যার শুরু হবে নার্সারী থেকে। কিন্তু স্কুল প্রতিষ্ঠা করলেইতো আর চলবে না। এটি হতে হবে মানসম্পন্ন। গেলাম ভারতের দার্জিলিং ‘সেন্ট জোসেফ’ স্কুলে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় বইপত্র ও তথ্য সংগ্রহ করলাম। সেখান থেকে গেলাম শিলং, কলকাতা। সেখানের আরো কয়েকটি স্কুল পরিদর্শন এবং প্রয়োজনীয় বইপত্রসহ তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে নিয়ে আসি। সেই সাথে নিয়ে আসি ‘রিডার রেবিট প্রি স্কুল সফ্টওয়্যার’। বাংলাদেশে তখন সবেমাত্র ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু। আমরা দেশে আসার পর ওই সফ্টওয়্যারের ব্যবহার এবং তার মাধ্যমে সঠিক উপায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে নিজেরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। পরে ১৯৯৬ সালে নুরউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও আমার নামে বিসিক হবিগঞ্জ থেকে ১ লাখ টাকা লোন নিয়ে ২টি কম্পিউটার ক্রয় করি। পরে স্কুলের উপর আরো বর্ধিতভাবে গবেষণা করে ২০০০ সালে ৫টি কম্পিউটারের মাধ্যমে আমাদের কিন্ডারগার্টেন স্কুলের যাত্রা শুরু হয়। হবিগঞ্জের মানুষ যখন ভাল করে কম্পিউটার চিনত না তখন আমরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করি। মানুষজনকে কম্পিউটার চেনাতে ১৯৯৮ সালে শহরের শিরিষতলায় কম্পিউটার মেলা করি। সেখানে আসা লোকজনকে হাত দিয়ে ধরিয়ে দেখিয়ে কম্পিউটারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। আর তাতে আমাদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করেন তৎকালীন পুলিশ সুপার জমশেদ উদ্দিন ভূঁইয়া। ‘আমরা মেধাদীপ্ত হবো, দেশ ও জাতির মুখে হাসি ফুটাবো’ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ২০০০ সালে নার্সারী, কেজি ও স্ট্যান্ডার্ড ওয়ান এই তিন শ্রেণি দিয়ে আমরা স্কুল শাখা চালু করি। যার নাম দেই ‘বাড্স কম্পিউটার বেইজড কিন্ডারগার্টেন’। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর সাবেক জজ অ্যাডভোকেট লিয়াকত হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট পূণ্যব্রত চৌধুরী বিভূ, ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আলমগীর ভূইয়া বাবুল, আব্দুর রহমান, ডাঃ জমির আলীসহ শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে আমাদের স্কুল পরিদর্শনের আহবান জানাই। তারা স্কুল পরিদর্শন করে কম্পিউটারের টুকিটাকি জেনে মুগ্ধ হন এবং তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করার ঘোষণা দেন। ১ম ব্যাচে ২৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বাড্স কম্পিউটার বেইজড কিন্ডারগার্টেনের যাত্রা শুরু হয়।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আহমদুল কবীর বারভূইয়া পুলক আরো বলেন, আমাদের স্কুলটি উদ্বোধন করেন তৎকালিন জেলা প্রশাসক আব্দুল আজিজ। দিন দিন স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তখনকার সময়ে আমরা শিক্ষার্থীদের পরিবর্তনশীল সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকতে সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজিতে দক্ষ করতে ইংরেজি গ্রামার, বাংলা গ্রামারসহ নিজস্ব কিছু বই তৈরী করি। স্কুলে ছাত্র সংকুলান না হওয়ায় আমরা নতুন ক্যাম্পাস খুঁজতে থাকি। ভাগ্য ভাল পেয়েও যাই। তখনকার সময়ে বিসিক শহর ছেড়ে ধুলিয়াখাল চলে গেলে রাজনগরস্থ বিসিকের অফিসসহ পুরো এরিয়া আমরা ভাড়া নেই। তখনকার সময়েই আমরা স্কুলের ভাড়া বাবদ ২ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করি। ২০০০ সালে আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ‘এসো নিজের কাজ নিজে করি’ মন্ত্রে উজ্জীবিত করি। ফলে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োজনীয় সব কাজ নিজে করতে শিখে। তারা বর্তমানে এতটাই সচেতন ক্যাম্পাসে তারা কোন ময়লা ফেলে না। ক্যাম্পাস সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেষ্ট থাকে। নিজের খাবার অন্যের সাথে শেয়ার করে খায়। টয়লেট ব্যবহারে সচেতন থাকে।
ভয় ও লোভ মানুষকে ধাবিত করে রাখে। ভয় থাকলে পদে পদে বিপদে পড়তে হয়। তাই শিক্ষার্থীদের ভয় দূর করতে মঞ্চ প্রোগ্রামে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়। যা পরবর্তীতে বাচ্চাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ওই সময়ে শুধুমাত্র বর্ণমালা খেলাঘর আসর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান করতো। পরে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরাও তা শুরু করি। কিবরিয়া পৌর মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করা হয়।
আমরা শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছি। স্কুলের সাবেক ছাত্র যারা আজ স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল তাদেরকে ক্যাম্পাসে এনে শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচয় করিয়েছি। তাদের মুখ থেকে শুনিয়েছি তাদের সফলতার গল্প। এ ছাড়াও স্কুলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ উচ্চ পদস্থ লোকজনকে এনে তাদের সফলতার গল্প শুনিয়েছি। ফলে শিক্ষার্থীরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। নিজের মাঝে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে। নতুন নতুন জায়গায় তাদের নিয়ে যাচ্ছি। ফলে ওই জিনিসগুলো সম্পর্কে তাদের মাঝে জানার আগ্রহ জাগছে। বর্তমানে তাদেরকে সামাজিকভাবে সচেতন করতে নতুন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে আমরা কিভাবে নিজেকে রক্ষা করতে হয় তা শেখাচ্ছি। ফলে তারা কোনটি গ্রহণ করবে আর কোনটি বর্জন করবে সে সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে তার মধ্যে জাগ্রত হচ্ছে ভক্তি শ্রদ্ধা। আমি এ প্রতিষ্ঠাকে আমার সন্তানের মতই মনে করি। শুধু সন্তান বললে ভুল হবে এটি হচ্ছে আমার প্রথম সন্তান। বর্তমানে স্কুলটিতে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। আর এতে ৫১ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। স্থান সংকুলান না হওয়ায় শহরের বাইপাস রোডে গড়ে তোলা হয়েছে স্কুলের ২য় ক্যাম্পাস। তিনি বলেন, আমাদের দেশটাকে পরিবর্তন করতে হলে প্রয়োজন ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী ও গবেষক। আর তা শুধু ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই তৈরী করতে পারে। শিক্ষকরা চাইলে দেশ পরিবর্তন করে দিতে পারেন।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মোঃ নুরউদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ২০০৮ সালে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আহমদুল কবীর বারভূইয়া পুলক আমেরিকা চলে যান। সেখানে তিনি বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করে শিক্ষা প্রদানের বিভিন্ন কলাকৌশল রপ্ত করে তা হবিগঞ্জে প্রেরণ করেন। আমেরিকা থেকে তিনি প্রথমে সিসি ক্যামেরা এনে স্কুলে স্থাপন করেন যাতে এক স্থানে বসে সমস্ত স্কুল মনিটরিং করা যায়। বর্তমানে তিনি স্কুলের চেয়ারম্যান ও আমি অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছি। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ২ বছরের মধ্যে নিজস্ব ভবনে স্কুল ক্যাম্পাস স্থানান্তরিত করা হবে।
বাড্স কেজি এন্ড হাই স্কুলে প্রতি ক্লাসে ৩০ জন শিক্ষার্থী। একজন শ্রেণি শিক্ষক ও ২ জন গাইড শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি শাখা পরিচালিত হয়। প্রত্যেক শ্রেণিকক্ষে ৫২ ইঞ্চি মনিটরের মাধ্যমে পাঠদান, নার্সারী হতে প্রত্যেক শ্রেণিতে আরবী বর্ণমালা শেখা, শব্দ ও বাক্য গঠন এবং আরবী গণনা, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে শুদ্ধ বাংলা, ইংরেজি ও আরবী উচ্চারণ চর্চা করানো, ৩টি সেমিস্টার পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ণয়, সেমিস্টারের পূর্বে ৩টি মডেল টেস্ট, ২টি সিটি এবং ১টি এসটি পরীক্ষা নেয়া হয়। নার্সারী থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক। সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য, অভিনয়, চিত্রাংকন ও আইকিউ বৃদ্ধির জন্য আলাদা ক্লাস এবং সেমিস্টার পরীক্ষা নেয়া হয়। প্রতিদিন এ্যাসেম্বলিতে অর্থসহ সূরা পাঠ, পবিত্র গীতা থেকে অর্থসহ শ্লোক পাঠ, হাতে কলমে ওযু শিক্ষা, নামাজের নিয়মাবলী, ছাত্র-শিক্ষক একসাথে নামাজ আদায় করা হয়। এ ছাড়াও জাতীয় দিবস পালন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রভৃতির জন্য রয়েছে নিজস্ব মঞ্চ। রয়েছে ত্রৈমাসিক ‘বাড্স দেয়ালিকা’। যার মাধ্যমে শিশুর মানসিক বিকাশ, চিন্তা-চেতনা ও প্রতিভার বিকাশ ঘটে।
বাড্স কেজি এন্ড হাই স্কুলে প্রতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। আর ক্লাস শুরু হয় জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে। যে সকল শিশুর বয়স ৪+ তারা নার্সারী, ৫+ কেজি এবং ৬+ বছর বয়সী শিশুকে স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানে ভর্তি করা হয়। নার্সারী ও কেজি শাখায় শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। স্ট্যান্ডার্ড ওয়ান থেকে সিক্স পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়।
সাফল্য ঃ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করে আসছে। কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন আয়োজিত বৃত্তি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সর্বাধিক বৃত্তি পেয়ে থাকে। তাছাড়া হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাফল্য ঈর্ষণীয়। আর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর শতভাগ পাশসহ ১০/১২টি বৃত্তি পেয়ে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটি নার্সারী থেকে স্ট্যান্ডার্ড ফোর পর্যন্ত রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সপ্তাহের ৫ দিন শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। স্ট্যান্ডার্ড ফাইভ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সপ্তাহে ৬দিন ক্লাস।
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে স্কুলে সাঁতার শিক্ষা প্রকল্প, টেবিল টেনিস ও ক্রিকেট প্রশিক্ষণ চালু করা হবে। শহরের শতকরা ৯৫ ভাগ শিশু সাঁতার জানে না। এই বিষয়গুলো অনুধাবন করে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ফোল্ডিং সুইমিং পুলের মাধ্যমে স্কুল ক্যাম্পাসে শিশুদের সাঁতার শেখানো হবে।