ডলি আক্তার। বাহুবল উপজেলার ¯œানঘাট ইউনিয়নের আশাতলা গ্রামের বাউল শিল্পী গোলাম মোস্তফার কন্যা। তিনি ¯œানঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ছোট বেলায় স্কুলে লেখাপড়া করার সময় মহান বিজয় দিবসে স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে তিনি গান গেয়ে সকলের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। আর তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে তার পদচারণা। পাশাপশি মা-বাবার উৎসাহ অনুপ্রেরণা পেয়ে তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাবা শিল্পী আর তাই সঙ্গীতের প্রতি কন্যার মোহ দেখে তিনি আগ্রহী হয়ে তাকে সঙ্গীতের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেন। তাকে ভর্তি করে দেন হবিগঞ্জের বিশিষ্ট সঙ্গীত প্রশিক্ষক আবু মোতালেব খান লেবুর নিজস্ব সঙ্গীত একাডেমিতে। সেখানে তিনি আবু মোতালেব খান লেবুর কাছে সঙ্গীতের তালিম নিয়ে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলেন। বর্তমানে তিনি অভিমন্য রায়ের কাছে গানের তালিম নিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি হবিগঞ্জের স্বনামধন্য কন্ঠশিল্পী সিদ্ধার্থ বিশ^াসের সুরে অসংখ্য গান গেয়ে দর্শক মন জয় করেছেন। তিনি শুরু থেকেই আধুনিক, নজরুল সঙ্গীত ও লোকগীতি গেয়ে আসছেন। বাবা যেহেতু বাউল শিল্পী ছিলেন এবং তিনি যাত্রাপালায় পালাগান গাইতেন তাই তিনি লোকগীতির সাথেই বেশি পরিচিত। তার বাবা গোলাম মোস্তফা বাংলাদেশের বরেণ্য কন্ঠশিল্পী ক্বারী আমির উদ্দিন, প্রাণকৃষ্ণ সহ নানা গুণি শিল্পীর সাথে গান গেয়েছেন। তাদের গান তিনি মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় শুনেছেন। তাইতো আধুনিক ও নজরুল সঙ্গীত গাইলেও লোকগীতির প্রতি রয়েছে তার আলাদা দুর্বলতা। ইতোমধ্যে তিনি তার যোগ্যতায় দর্শক শ্রোতাদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। এর স্বীকৃতিও পেয়েছেন তিনি। তিনি পল্লীগীতি ও আধুনিক গানে বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী। তার প্রিয় ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। তাইতো তিনি ভবিষ্যতে কনকচাঁপার মতো বরেণ্য কন্ঠশিল্পী হতে চান। তার এ স্বপ্ন সফল ও সার্থক হোক দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পরিবারের পক্ষ থেকে এ শুভ কামনাই রইল।
– মঈন উদ্দিন আহমেদ