স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর বাজারে অগ্রণী এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে অগ্রণী এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সিলেট বিজনেস ডেভেলপমন্টের নির্বাহী কর্মকর্তা মোকাদ্দেছ আলী উপজেলার জগদীশপুর বাজারে অগ্রণী এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যালয় বন্ধের নোটিশ টাঙ্গাতে গেলে ভুক্তভোগী শত শত গ্রাহক তাকে আটকে রাখে।
সূত্র জানায়- বছরখানেক আগে জগদীশপুর বাজারে বিশ্বনাথ কর্মকারের একটি ঘর ভাড়া নিয়ে অগ্রণী এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করা হয়। জগদীশপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শত শত গ্রাহক পল্লী বিদ্যুতের বিলের টাকা ওই শাখায় জমা করেন। কিন্তু ওই শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন ৩/৪ মাসের টাকা নিয়মিত পল্লীবিদ্যুতের তহবিলে জমা না দিয়ে নিজেদের কাছে রেখে দেয়। পল্লী বিদ্যুতের লোকজন টাকা না পেয়ে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে গ্রাহকরা জানতে পারেন তাদের টাকা জমা হয়নি। এ নিয়ে ৩/৪ মাস ধরে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়।
সোমবার সকালে অগ্রণী এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার সিলেট বিজনেস ডেভেলপমন্টের নির্বাহী কর্মকর্তা মোকাদ্দেছ আলী কার্যালয়টি বন্ধের নোটিশ নিয়ে জগদীশপুর গেলে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের কবলে পড়েন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বিক্ষুব্ধ জনতার কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। সেখানে প্রতারণার শিকার পল্লী বিদ্যুতের কয়েকশত গ্রাহক অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চকদার, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নোয়াপাড়া জোনের ডিজিএম মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থলে আসেন। বিকেল ৪টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আয়েশা আক্তার ও অগ্রণী এজেন্ট ব্যাংক চান্দুরা শাখার দুই কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা শান্ত হয়।
পল্লী বিদ্যুত সমিতির নোয়াপাড়া জোনের ডিজিএম মোশারফ হোসেন বলেন, ব্যাংকের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের যেভাবে চুক্তি হয়েছিল তারা চুক্তিমত কাজ করেনি। যার ফলে এমন অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। তবে সমঝোতায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে গ্রাহকরা কোন রকমের ভোগান্তির মধ্যে না পড়েন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আয়েশা আক্তার জানান, এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে একটি সমাধানে যাওয়া হয়েছে।