হবিগঞ্জে পিইসিতে ৩৭ হাজার ১১১ ও ইবতেদায়ীতে পরীক্ষার্থী ২৯০১ জন

এসএম সুরুজ আলী ॥ আজ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এ বছর হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৩৭ হাজার ১১১ জন ও ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৯০১ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। জেলার ১৪২টি কেন্দ্রে একযোগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। আর শেষ হবে ১টায়। স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে অংশগ্রহন করবেন। ১ম দিনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ইংরেজি ও ইবতেদায়ি শিক্ষার ইংরেজি পরীক্ষা অনুষ্ঠি হবে। এছাড়াও প্রাইমারি ১৮ নভেম্বর বাংলা, ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২০ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২১ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং ২৪ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইবতেদায়ি ১৭ নভেম্বর ইংরেজি, ১৮ নভেম্বর বাংলা, ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান, ২০ নভেম্বর আরবি, ২১ নভেম্বর কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং ২৪ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ২৩টি কেন্দ্রে ৬হাজার ৫০৫ জন, নবীগঞ্জ উপজেলার ২০টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৮২৯ জন, লাখাই উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে ২হাজার ৬৮৩ জন, বানিয়াচং উপজেলার ২৪টি কেন্দ্রে ৫হাজার ৮৮৬ জন, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে ১হাজার ৯৬৭জন, মাধবপুর উপজেলার ১৯টি কেন্দ্রে ৫হাজার ৭৯১ জন, চুনারুঘাট উপজেলার ২২টি কেন্দ্রে ৫হাজার ১৩০ ও বাহুবল উপজেলার ১৬টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩২০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করবেন। এ পরীক্ষা এক সপ্তাহ চলবে। তবে গত এক বছরে হবিগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্র্থীদের সংখ্যা কমেছে ৭ হাজার ৩৮৯জন। অপরদিকে মাদ্রাসায় এক বছরের জেলায় ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১১৫জন। প্রাথমিকে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর (এনজিও) পরিচালিত বিদ্যালয় ও আনন্দ স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কারণে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা এবার গত বছরের চেয়ে কমেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৩৭ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী।
গত বছর ৪৭ হাজার ৩৫৩ জন ফরম পূরণ করলেও পরীক্ষায় ৪৪ হাজার ৫০০ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয় ৪২ হাজার ৬১৬ জন। কিন্তু এ বছর কমে গিয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৭ হাজার ১১১ জন। আর ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৯০১ জন। গত বছর ছিল ২হাজার ৭৮৬জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিল ২হাজার ১৬৭জন। গত বছরের প্রাইমারী সমাপনী পরীক্ষার্থীর তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থী কমেছে ৭ হাজার ৩৯৯ জন। অপরদিকে মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১১৫জন। এ বছর প্রাইমারীতে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে জানান, গত বছর জেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলে আনন্দ স্কুলসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের প্রাইমারি লেভেলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। এগুলো আর সাধারণত প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা এক ধরণের নয়। প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কম বয়সের হয়। আর আনন্দ স্কুলসহ এনজিও প্রতিষ্ঠানের স্কুলগুলোতে আরেক ধরণের হয়। সেগুলোতে ঝড়ে পড়া ও বয়স্ক ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করতো। এবার আনন্দ স্কুলসহ কয়েকটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের স্কুলগুলো বন্ধ থাকার কারণে সমাপনী পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বা অংশগ্রহন কমেছে।