দুর্বৃত্তরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে রেলের নাট বল্টু আর হুক

জামাল মোঃ আবু নাছের ॥ পুরানো কাঠের স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগেই। রেল লাইনের শিকের সাথে স্লিপার ধরে রাখতে নেই কোন হুক। কোথাও দেখা গেছে লোহার হুকের পরিবর্তে বাঁশের ফালি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে ব্রীজের স্লিপারগুলো। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই ট্রেন চলছে আখাউড়া-সিলেট রেল সেকশনের মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার থেকে হরষপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত আন্তনগর ও স্থানীয় ট্রেনগুলো।
পূর্ব বাংলার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে ব্রিটিশ সরকারের আমলে শুরু হয় এ যোগাযোগ মাধ্যমটি। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময় প্রসার করা হয় রেল লাইনটি। দুর্বৃত্তরা রেলের নাট বল্টু আর হুক চুরি করে নিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকির মধ্যেই চলছে এ লাইনের ট্রেনগুলো।
সম্প্রতি ওই সেকশনের একটি নৈশ ট্রেন দুর্ঘটনায় পতিত হলে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। আলোচনায় আসে রেল লাইনের নিরাপত্তার বিষয়টি। অনেকই প্রশ্ন তুলছে এ ঝুঁকিপূর্ণ রেল লাইনের ব্রীজগুলো মেরামত করা হয়নি কেন?
সরজমিনে উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের সীমানায় বেশ কেয়কটি ব্রীজে গিয়ে দেখা যায় কাঠের স্লিপারগুলো নষ্ট হয়ে নড়বড়ে অবস্থায় আছে। ট্রেন আসলেই নড়তে থাকে স্লিপারগুলো। এ গুলোকে মজবুত রাখতে বাঁশের ফালিতে পেরেক মেরে আটকে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, দুর্বৃত্তরা লোহার হুক ও নাটবল্টু খুলে নিয়ে যাওয়ায় ব্রীজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গির মিয়া বলেন, দুর্বৃত্তরা প্রতিনিয়তই চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে রেল লাইনের লোহার নাট বল্টু ও হুকগুলো। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা।
যোগাযোগ করা হলে নয়াপাড়া রেল স্টেশন মাস্টার আবু সাঈদ বলেন রেল লাইন মেরামত করার ব্যাপারে আমাদের কোন কাজ নেই। এগুলো তদারকির দায়িত্বে রয়েছে পিআইডাব্লিউ। তারা এগুলো দেখাশুনা করে মেরামত করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবক বলেন বাঁশগুলো বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায়। এ গুলোর পরিবর্তে যদি কাঠ অথবা লোহার পাত দিয়ে মেরামত করা হত তালে বেশিদিন স্থায়ীত্ব হতো।
মুঠোফোনে জানতে চাইলে রেলওয়ের উর্ধতন উপ সহকারি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন- ব্রীজগুলোর মালামাল বিদেশ থেকে আসছে। আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যেই মেরামত কাজ শুরু করা হবে।