শিশুটিকে মৃত অবস্থায় ফেলে দেয়া হয়েছিল নাকি জীবিত শিশুকে খুন করে নদীর চরে ফেলা হয়েছে?

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহর থেকে উদ্ধার করা এক শিশুর কাটা হাত ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে। শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ হাতটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, হবিগঞ্জ শহরের যশেরআব্দা এলাকায় স্থানীয় লোকজন নদীর বালুর চরে একটি কাটা হাত দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই কাটা হাতটি হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) তদন্ত জিয়াউর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে কাটা হাতটি কোন শিশুর। কোন জুটির পাপের ফসল হতে পারে এই কাটা হাত। ওসি জিয়াউর রহমান আরো ধারণা করেন- শিশুটিকে হয়তো নদীর বালুচরে ফেলে দেয়া হয়েছিল। শেয়াল কুকুর শিশুটিকে খেয়ে ফেলেছে। শুধুমাত্র হাতের এই অংশটুকু রয়ে গেছে। তিনি জানান, এ বিষয়ে জানতে কাটা হাতটি ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, শিশুটি কারো পাপের ফসল হয়ে থাকলে হয়তো ওই জুটি অন্য কোন এলাকার হবে। তারা নিরাপদ স্থান হিসেবে রাতের আধারে নদীর বালুচরে শিশুর লাশ ফেলে গিয়েছে। কেউ কেউ মন্তব্য করেন শিশুটিকে মৃত অবস্থায় ফেলে দেয়া হয়েছিল নাকি জীবিত শিশুকে খুন করে নদীর চরে ফেলা হয়েছে তা পুলিশের খুঁজে বের করা উচিত। যে বা যারা এই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সিরাজুল ইসলাম জীবন দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে জানান, শিশুর কাটা হাত উদ্ধার হওয়া নিয়ে এর কোন রহস্য বুঝতে পারছেন না তারা।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মেহেদী জানান, শুধুমাত্র কাটা হাত থেকে নিহতের মৃত্যুর কারণ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য মৃতের শরীর প্রয়োজন।