অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বললেন ডাকাতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে

এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়া-নছরতপুর সড়কের নিজামপুর ইউনিয়নের কালকারচক এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে পাইপগান, দা, কার্তুজ, রডসহ ডাকাতি করার সরঞ্জাম উদ্ধার করে। আটককৃত ডাকাতরা হলো বি-বাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে হানিফ মিয়া (৪৫) ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের আরব আলীর ছেলে সাইদুল মিয়া (৩০)। গতকাল রাতে ডাকাতদের গ্রেফতার সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং করেন হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম। নিজের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টার দিকে হবিগঞ্জ থেকে পাইকপাড়া হয়ে নছরতপুর সড়কের কালকারচক এলাকায় রাস্তার পাশে একটি কলাবাগানে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হবিগঞ্জ সদর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মোঃ সেলিম, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, ডিবির ওসি মোঃ মানিকুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) দৌস মোহাম্মদ, এসআই মোঃ সাহিদ মিয়া, এসআই পলাশ চন্দ্র, এসআই মোঃ জহির আলীসহ পুলিশের ২টি টিম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা হাওরের দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় হানিফ মিয়া ও সাইদুল মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। অন্যান্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি পাইপগান ও ২টি কার্তুজ উদ্ধার হয়। ডাকাতদের ফেলে যাওয়া ৫টি দা, ২টি রড, ৫টি কালো কাপড়ের মুখোশ, ৭টি নাইলনের রশি, ২টি টর্চ লাইট উদ্ধার করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম আরো জানান, আটককৃত ডাকাতরা পেশাদার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। ডাকাত হানিফের বিরুদ্ধে বি-বাড়িয়া, নরসিংদী, আখাউড়ায় অস্ত্র ও ডাকাতির ১১টি মামলা রয়েছে। আটককৃত ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়া হবিগঞ্জ, বি-বাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানের ৯ ডাকাতের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেছে। আটককৃত হানিফ হবিগঞ্জ সদরের ডাকাত কুদরত আলীর সেকেন্ড-ইন কমান্ড হিসেবে ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। আটককৃতদের কাছ থেকে পেশাদার ডাকাতদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই জহির আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। ওই দুই ডাকাতকে আটক করায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। তিনি আরো বলেন, হবিগঞ্জ থেকে চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধ করতে ইতোমধ্যে ৪০ জনের উপরে চোর ও ডাকাত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এছাড়া ২ ডাকাত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধ করতে ডাকাতের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেখানে বা যে এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটবে সে এলাকার সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অভিযান অব্যাহত থাকবে। গতকালই দুই ডাকাতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মোঃ সেলিম, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, ডিবির ওসি মোঃ মানিকুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) দৌস মোহাম্মদ, এসআই মোঃ সাহিদ মিয়া, এসআই পলাশ চন্দ্র, এসআই মোঃ জহির আলী।