এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে ভেজাল ভোজ্য তেলসহ নকল প্রসাধন সামগ্রির কারখানা আবিষ্কার করেছে ডিবি পুলিশ। সোমবার বিকেল ৪টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) এসএম রাজু আহমেদের নেতৃত্বে হবিগঞ্জ ডিবির অফিসার ইনচার্জ মানিকুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক এমরান হোসেন অভিযান চালিয়ে এ কারখানা আবিষ্কার করেন। এ সময় কারখানার মালিক সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের অসাধু ব্যবসায়ী ইসমাঈল হোসনকে আটক করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মর্তুজ আলীর ছেলে। কারখানা থেকে পামওয়েল তেল দিয়ে তৈরি ভেজাল সরিষা, নারিকেল ও সোয়াবিন তেল, ওলিভওয়েল ও গ্লিসারিন মিশ্রিত নকল ভ্যাসেলিন জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। তিনি জানান, আটক ইসমাঈল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর মনোগ্রামসহ খালি বোতল সংগ্রহ করেন। এসব খালি প্লাস্টিকের বোতলে পামওয়েল তেল দিয়ে তৈরি ভজাল সরিষা, নারিকেল ও সোয়াবিন তেল তৈরি করে ভর্তি করা হয়। ওলিভওয়েল ও গ্লিসারিন মিশ্রিত করে নানান ফ্লেভার দিয়ে নকল ভ্যাসেলিন তৈরী করা হয়। এছাড়া ইসমাঈল যে কোন পদার্থের সাথে আতরের ফ্লেভার মিশিয়ে আতর তৈরী করতে পারেন। এসব নকল পণ্য নির্বিঘেœই তিনি বাজারজাত করে আসছিলেন। এদিকে শীত মওসুমকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ গ্লিসারিন ভ্যাসেলিন তৈরী করে ইসমাঈল। এ গুলো গ্রামাঞ্চলে হকারদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। কম দামে বিক্রি করায় গ্রামের সহজ সরল লোকজন তা ক্রয় করেন। এগুলো ব্যবহারের ফলে মানুষের শরীরে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ আসার পর ভেজালের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। গতকালই আদালতের মাধ্যমে আটককৃত ইসমাঈল হোসেনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডিবির এসআই দেবাশীষ দাশ বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হবিগঞ্জ সদর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) এসএম রাজু আহমেদ, প্রবেশনাল সহকারি পুলিশ সুপার মানছুরা আক্তার, হবিগঞ্জ ডিবির অফিসার ইনচার্জ মানিকুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক এমরান হোসেন প্রমূখ।