১ম বিভাগ ফুটবল লীগ উদ্বোধন করলেন এমপি আবু জাহির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রকৃতিতে যখন শীতের আগমন আসন্ন তখন উত্তাপ ছড়াতে হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে সাইফ পাওয়ার ১ম বিভাগ ফুটবল লীগ। আগামী ১ মাস এই মাঠ মুখরিত থাকবে ফুটবল যুদ্ধে। যতই দিন যাবে ততই আকর্ষণীয় হবে এই লড়াই। কারণ শেষ দিকে দেশ-বিদেশের তারকা ফুটবলারদের আগমন ঘটবে এই মাঠে। বহুদিন পর স্টেডিয়ামের বিশাল গ্যালারী কানায় কানায় পূর্ণ হবে এই সম্ভবনাকে সামনে রেখেই গতকাল শুরু হয়েছে এই লীগ। ফুটবলে লাথি দিয়ে ২৪ দলের এই লাড়াইয়ের উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। উদ্বোধনী খেলায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ান শায়েস্তানগর ক্রীড়া চক্র শুভসূচনা করে ৪-০ গোলে পরাজিত করেছে ধ্রুবতারা সংসদকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমপি আবু জাহির বলেন, ফুটবল হলো আমাদের প্রাণের খেলা। হবিগঞ্জে রয়েছে এই খেলার অনেক গৌরবগাঁথা আর ঐতিহ্য। বর্তমান পেশাদার যুগে আমরা পিছিয়ে পড়লেও সামনে আগানোর রয়েছে অপার সম্ভাবনা। এখন পেশাদার লীগে হবিগঞ্জের অনেক তরুণ নিজেদের অবস্থান গড়ে নিতে পেড়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হবিগঞ্জে আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দেয়ায়। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ফুটবলের বিকাশে আমাদের সকলে মিলে কাজ করতে হবে। শুধু হবিগঞ্জে নয়, জাতীয়ভাবেও আমাদের ফুটবল ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের সাথে ড্র আর শক্তিশালী কাতার এবং আফগানিস্তানের সাথে লড়াই নতুন অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। র‌্যাংকিংয়েও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। শুধু ফুটবল নয় সকল খেলার উন্নয়নেই বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। প্রত্যন্ত এলাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম। ক্রীড়া পাগল এই জাতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছেন ক্রীড়া ক্ষেত্রে।
জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী পারভেজের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন কলি, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আক্রাম আলী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, শফিকুজ্জামান হিরাজ, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী সাহেদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইদুর রহমান, গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, লীগ পরিচালনা কমিটির আহবায়ক শহিদুর রহমান লাল, সহ সভাপতি সালেহ আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমেদ, সদস্য নূরুল হক, আব্দুল হান্নান, এসএম আব্দুর রউফ মাসুক, ফারুক আহমেদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য হুমায়ুন খান, ইসহাক আলী সেবন ও জাহির মিয়া।
প্রসঙ্গত- মাসব্যাপি এই লীগে ২৪টি দল অংশগ্রহণ করছে। ৮টি গ্রুপে বিভক্ত হওয়া প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। সেখানে প্রতি দলে জাতীয় দল এবং বিদেশী ৩ জন করে খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। সেমিফাইনালে ৪ জন এবং ফাইনালে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে ৫ জন। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।